শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
রাজধানীর ০৯মে ২০১৩ উত্তরায় মানসম্মত ক্যান্টিন ও শিক্ষক পরিবর্তনসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন করেছে উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ।
সোমবার দুপুরে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা । এ সময় আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে অস্থায়ী ক্যান্টিন এবং প্রত্যেক ফ্লোরে নিরাপদ পানির ব্যবস্থার জোর দাবি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবর ৯ দফা দাবি সংবলিত একটি লিখিত পত্র জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রছাত্রীরা।
বেলা ১২ টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে জানায়, আমরা শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস চাই। আমাদের আন্দোলন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে। আমরা চাই আমাদের ক্যাম্পাস থেকে এসব মুক্তি পাক। শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হোক।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মামলামুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই, রাজনীতিমুক্ত স্কুল চাই’ স্লোগান দিতে থাকে। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত আকারে নিজেদের ৯ দফা দাবি জমা দেয় শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উত্তর-পূর্ব কর্নারের একটি অংশে মাংস বিক্রির দোকান ভাড়া দিয়ে রাখা হয়েছিল। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসের নির্ধারিত ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে আসছিল।
এ সব বিষয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে বলে জানিয়েছে অভিভাবকরা।
একজন অভিভাবক জানান, স্কুলে বাচ্চাদের জন্য ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অথচ স্কুলের জায়গায় মাংসের দোকান বসানো হয়েছে। স্কুলের মধ্যে কসাইখানা পরিচালিত হতে পারে না।
এসব বিষয়ে মুঠোফোনে উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিষয়টি গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানকে আমি জানিয়েছি। তিনি অসুস্থ আছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুপুর থেকেই ঘটনাস্থলেই পুলিশের শক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (অপারেশন) পার্থ প্রতীম বলেন, একাধিক দাবিতে শিক্ষার্থীরা বেলা ১২টায় রাস্তার ওপর শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। পরে প্রিন্সিপালের প্রতিশ্রুতিতে দুপুর ২টা ছাত্রছাত্রীরা অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।