বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক ঢাকার এক বাড়িওয়ালা অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: খসরু চৌধুরী এমপি-১৮ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সহস্রাধীক পরিবারের মাঝে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ঈদ উপহার বিতরণ  ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পুষ্পস্থবক বিনম্র শ্রদ্ধা প্রতারক হুমায়ুন কবির ও তার পরিবার

“একটি বিশেষ খোলা চিঠি” প্রানপ্রিয় দেশবাসী ও ছাত্র সংগঠনের কাছে লেখা বিশেষ খোলা চিঠি।

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

শফিকুল ইসলাম,  শ্রীপুর গাজীপুর 

আমি শফিকুল ইসলাম, পিতা, মৃত_সিরাজুল ইসলাম, গ্রাম- বেড়াইদের চালা, থানা- শ্রীপুর, জেলা- গাজীপুর।

প্রানপ্রিয় দেশবাসী ও ছাত্র সংগঠনের সুদৃষ্টি কামনায় কিছু লিখতে চাই_

ধর্ম যার যার_রাষ্ট্র সবার। রাজনৈতিক দল যার যার_সরকার জনতার। “সরকার জনতার সম্মিলিত উদ্যোগেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন হবে” এমন শ্লোগানের নীতিমালায় ২০০২ইং সাল থেকে আমার প্রতিষ্ঠান “Sekh Siraj Public Power International Academy” (full free education for poor children’s) এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু আমার বংশ একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসী চক্র বিধায়, আমার প্রতিষ্ঠানের অর্থ-সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য আত্নসাতের লালসায় দুইযুগ ধরে আমার পরিবারের উপরে নির্মমভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে প্রকাশ্যে। শুধু আমার উপরে নির্যাতন করেই থেমে থাকেনি। ভালুকা, ত্রিশাল, শ্রীপুর উপজেলার শত শত পরিবার নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে।

 

প্রানপ্রিয় দেশবাসী আপনারা জানেন যে, আমাদের সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন_কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে তথ্য দিন ব্যবস্থা নেব। প্রানপ্রিয় দেশবাসী আপনারা তাও জানেন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল জনসাধারণের সামনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আওয়ামী লীগে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ এর স্থান নেই। তাই আজ আমি শফিকুল ইসলাম প্রানপ্রিয় দেশবাসীর সামনে সরকারকে ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ দেখিয়ে দিচ্ছি।

 

আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলকে দেখিয়ে দেবো, আওয়ামী লীগের টাইটেল ব্যবহারকারী কুখ্যাত সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যুর মাস্তানতন্ত্র। আজ আমি প্রশাসনকে দেখিয়ে দিচ্ছি দেশ ও জাতিকে ধংসকারী হিংস্রতা পূর্ণ অপরাধী চক্র। আজ আমি দুদকের চোখের সামনে তুলে ধরছি কালো টাকার পাহাড় আর অবৈধ সম্পদের ভান্ডার। আজ আমি পিবিআই সিআইডি ডিপার্টমেন্ট এর সামনে তুলে ধরছি অসম্পন্ন প্রতিবেদনগুলো যেগুলো আইনের রক্ষক হয়ে বক্ষকের ভূমিকা পালন করে ছিল।

যাতে করে সম্পন্ন করতে পারেন অসম্পন্ন প্রতিবেদন ও অভিযোগ গুলো। আজ আমি যমুনা টিভির ৩৬০ ডিগ্রী আর তালাশ টিমের মতো মাধ্যমগুলোকে সন্ধান দেবো, এমন জাহেলিয়াতের যুগের চেয়েও হিংস্র নির্যাতনের চিত্র নিয়ে প্রতিবেদন করার, যা বাংলার মানুষের চোখ কল্পনা করেনি। এযেন রুপ কথার গল্পের নির্মম বাস্তবতা। পুলিশ আর সব ধরনের রাজনৈতিক দলের সাথে আঁতাত করে গড়ে উঠা কুখ্যাত সন্ত্রাস বাহিনীর প্রকাশ্যে অপরাধের নমুনা এমন যে, ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অপহরণ করার জন্যে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিশেষ টিম আছে।

মুক্তিপণ আদায় করার প্রয়োজনে জিম্মি রাখতে এবং পাশবিক নির্যাতন করতে নিজস্ব টর্চার সেল আছে। আরো আছে মিনি জেলখানা দীর্ঘ সময় জিম্মি রাখার প্রয়োজনে সরকারি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি। অর্থাৎ “সাঁকো মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র” রেজিষ্ট্রেশন ময়-০৭, কাঠগোলা বাজার, ময়মনসিংহ।

যেখানে অপহরণ করে বৈধভাবে সুদীর্ঘ সময় জিম্মি রাখে। যার সমস্ত ভিডিও তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত। বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষনে উৎসবমুখর পরিবেশে অন্যের সম্পদ জবরদখল করে। অস্রহাতে সন্ত্রাস বাহিনী মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আগ্নেয় অস্রের খেলায় যেন প্রশাসনকেও হাড় মানাবে।

সেই দশ ট্রাক অস্রের কথা বাংলার জনতা ভুলেই বসেছে। আপনারা কি জানেন এমন অস্রের চালান কুখ্যাত সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের মতো সন্ত্রাসীদের পক্ষেই আনা সম্ভব। একটুকরো জমির লোভে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে সংসারের কর্তাকে জেলে আটকিয়ে, স্ত্রীকে সামাজিকভাবে গৃহবন্দী রেখে, নির্মমভাবে ধর্ষণের পরে ভিডিও ধরন করে।

ব্লেকমেইলিং পক্রিয়ার হিংস্রতার কৌশলে এটাই সুস্পষ্ট যে, উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর গডফাদার ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের জন্ম হিটলার, মির্জাফর আর রাজাকারদের বীর্যের সংমিশ্রণে। জাহেলিয়াতের জামানাতেও এমন হিংস্র নির্যাতনের গল্প শুনিনি কখনও। যা দেখেছি নিজ চোখে, যেভাবে ভুক্তভোগী হয়েছি নিজেই।

সেই বিভৎস ব্যাখ্যা তথ্যপ্রমাণ সহ নেওয়ার কোন আইন আদালত প্রশাসন আজও খোঁজে পাইনি। চাঁদাবাজি যেন তাদের শশুর বাড়িতে প্রাপ্তি স্ত্রীর সম্পদের অংশ। চাহিদামতো দিতে বাধ্য ভুক্তভোগী শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা। শত শত পরিবারের বসতভিটা জনসম্মুখে প্রকাশ্যে ভাংচুর লুটপাট জবরদখল করে ট্রাক ভরে নিয়ে যায়।

জমি জবরদখল করে নেয়। এপর্যন্ত কতগুলো বসতবাড়ি ভাংচুর লুটপাট জবরদখল করছে তার হিসেব নেই। কত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জবরদখল করে নিয়েছে তারও সঠিক কোন হিসেব নেই। স্কয়ার মাস্টার বাড়ির স্বপ্ন সুপার সপকে ভাড়া দেওয়া মার্কেট জবরদখল করে নেওয়ার ইতিহাসের আতঙ্ক জনতার অন্তর থেকে কি মুছবে কোনদিন??? রাতভর বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষন করে উৎসবমুখর পরিবেশে যে মার্কেট জবরদখল করেছিল। তবে তবে আইন আদালত প্রশাসন কেন??? যদি ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকার এভাবেই নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে।

কিন্তু এই হিসেব সুস্পষ্ট যে, কোন ভুক্তভোগী পরিবার একবারও প্রশাসনিক সহযোগিতা পায়নি। যেমন আমার বসতবাড়িতে এবারের রোজায় ০৩/০৪/২০২৩ইং তারিখে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে রাতভর তান্ডব চালায়। ৯৯৯ এ কল করলে থানায় কথা বলিয়ে দিলে ওপাশ থেকে শুনতে পাই তাদের ফোর্স নাই। সকালে দিনের আলোতে আমার জন্মভূমি, আমার মাতৃভূমি, আমার বসতবাড়ি ভাংচুর লুটপাট জবরদখল করে নিয়েছে প্রকাশ্যে। এক কাপড়ে আমাদের বের করে দিয়েছে।

আমাদের মোবাইল, সিম কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্র সহ কোন কাগজপত্র পর্যন্ত দেয়নি। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি একটি জিডি পর্যন্ত করতে চেষ্টা করিনি। মজার ব্যাপার কেন বললাম এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে হবে, জলে বাস করে কুমিড়ের সাথে লড়াই করার মতো। তবে এই ব্যাখ্যা হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট জানতে চাইলে দেওয়ার মতো সৎ সাহসেরও কমতি নাই। কয়েকশত সন্ত্রাসী নিয়ে সংগঠিত উক্ত সন্ত্রাস বাহিনী। কয়েকটি উপজেলার মাদকের আড়ৎ উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

কোটি কোটি টাকার মাদকের চালান আমদানি করছে সালাউদ্দিন সরকার অবৈধভাবে। যা নিয়ন্ত্রণ করে আমার সহোদর মেঝুভাই জহিরুল ইসলাম। পঞ্চম শ্রেণী পাস করা সম্পাদক। gnewsbd.net অনলাইন নিউজ পেপার পত্রিকায়। যেভাবে কিছু অসাধু সাংবাদিক পরিচয়ধারী গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে অবৈধ কাজে, অপরাধ জগতে লিপ্ত থাকে। এক সময়ের বিএনপির অস্রধারী ক্যাডার ছিল।

সেনাবাহিনীর অভিযানের সময়ে ফেরারি আসামি ছিল। পালিয়ে মালয়েশিয়ায় আত্নগোপন করে ছিল। মালয়েশিয়া থেকে এসে বস্তা ভরা অস্র নিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে জেল খেটে ছিল। থানায় অস্রহাতে ছবি ঝুলানো ছিল অনেক বছর। কিছুদিন পূর্বেও তার ঘর থেকে শ্রীপুর থানা ২৩৫০পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও পাঁচ লক্ষ টাকা ক্যাশ উদ্ধার করে।

যদি বলেন তারপরও ছাড়া পেলো কিভাবে??? তা আমার বোধগম্য নয়। তবে মন্তব্য করতে পারি এমন যে, সারাবিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত সরকার গঠন করা রাজনৈতিক দলের নির্দেশে। আর তাই প্রশাসন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। কেননা গডফাদার ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকার আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কোষাধ্যক্ষ।

নজরুল নেতা বিএনপি-র নাট্য সম্পাদক আমার সহোদর বড় ভাই। জমিজমা জবরদখলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সেনাপতি। যেভাবে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সালাউদ্দিনের হুকুম পালন করেছে আমার বসতবাড়ি ভাংচুর লুটপাট জবরদখল করে। আমার বসতবাড়ির অনেক আসবাব পত্র এখনো নজরুল নেতার নিজের বাড়িতে।

নাটক, যাত্রা, সার্কাস, মাগীর দালাল, জোয়ার বোর্ড পরিচালনা সহ সন্ত্রাসী লেবার নিয়ন্ত্রণে, যার দায়িত্ব পালনের ভূমিকা অপরিসীম। এলাকার সকল প্রকার আইনবিরোধী, সমাজবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপকর্মের বখড়া আদায়কারী নজরুল নেতা ও তার ছেলে জুনায়েদ।

ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের সবচে বিশ্বস্ত গোলাম নজরুল নেতা। যার একমাত্র ছেলে মাদক সম্রাট জুনায়েদ কে বিয়ে করায়েছে, বাঘের বাজার কোয়ালিটি গেইটের কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী চিহ্নিত চরিত্রহীনা আদিবাকে। গাজীপুর জেলার প্রশাসন সহ সর্বস্তরের মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সুপরিচিত চরিত্রহীনা ও মাদক সম্রাজ্ঞী আদিবার মুখ।

যে আদিবার পিতা মনির সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে দিয়ে মাদক বানিজ্য করে কালো টাকার পাহাড় গড়েছে। বিশাল বড় কাপড়ের দোকান দিয়ে সেই দোকানে দুইজন নারীকে হত্যা করে, নিজের গাড়িতে করে লাশ গুম করেও ধরা পড়ে যায় প্রশাসনের কাছে। দীর্ঘদিন কারাবাসের পরে এখন মুক্ত।

নজরুল নেতা এপর্যন্ত কতগুলো বিয়ে করেছে সেই হিসেব তার নিজের কাছেও আছে কিনা সন্দেহ। এখনো তিনটা সংসার চলমান। আমার মেঝু ভাই জহিরুলের দ্বিতীয় সংসারের শ্যালকগন সহ সকলেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আমার চাচাতো ভাই, চাচাতো বোন, ফুফাতো ভাই, ফুফাতো বোন মাদকের পাইকারি ব্যবসায়ী।

ইয়াবা ট্যাবলেট, বেরনস, হুইস্কি, ফেনসিডিল সহ সব ধরনের মাদক বানিজ্য করছে প্রকাশ্যে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো পরিষ্কার তাদের অপকর্ম। একাধিকবার প্রশাসনের কাছে ধরাও পড়েছে।

জেলেও গিয়েছে। কিন্তু মাদক বানিজ্য একদিনের জন্যেও বন্ধ থাকেনি। নিজ বাড়িতে পতিতা বানিজ্য করছে বছরের পর বছর ধরে ফুফাতো বোন মর্জিনা। তদ্রূপ তাদের ছেলে-মেয়েদের বিবাহ সম্পর্ক অন্য কোন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর সাথে অথবা কোন সন্ত্রাসীর সাথে করে থাকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে।

তাদের ছেলে-মেয়ে সহ আমার গোত্রের রমরমা মাদক বানিজ্য সহ সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, নাগরিক নির্যাতনের মতো জঘন্য এবং আইনবিরোধী অপরাধ করছে প্রকাশ্যে। আমার দুর্ভাগ্য এমন একটি ক্ষমতাসীন এবং বিলাসবহুল বংশের সাথে মিশতে পারিনি। যদিও আমি আন্তরিকভাবে গর্বিত নিজেকে এমন একটি অমানবিক বংশ ও সন্ত্রাসী চক্র থেকে আলাদা করতে পেরেছি।

কিন্তু আমিও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিস্মিত ও স্তব্ধ। নাগরিক জীবনে ক্ষমতার বলে নির্মমভাবে নির্যাতন করছে যেভাবে তা তদন্ত করলে প্রশাসনের চোখ কপালে উঠবে। জানিনা কত সাল থেকে ব্যাংক লোপাট শুরু হয়েছে।

তবে এটা জানি যে বনের গজারি কাঠ চোর হোসেন আলীর ঔরসজাত ছেলেরা, ১৯৯৫ইং সাল থেকে বানোয়াট দলিলে ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক লোপাট শুরু করেছে। ব্যাংক লোপাট পারিবারিক চক্রের সদস্য ভাইয়েরা। ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন, আলাউল কবির, সালাউদ্দিন সরকার, হবিরবাড়ি ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা তারা সবাই। নিচে ব্যাংক লোপাটের একটি বাস্তব হিসেব দিলাম। দেখুন নিখুঁতভাবে ব্যাংক লোপাটের একটি বিশেষ তথ্য। যে তথ্য আমি প্রকাশ্যে সকল তদন্ত কমিটি চ্যালেঞ্জ করছি।

যে নথি দিয়ে অগ্রনী ব্যাংক রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে মোটা অংকের ঋণ নেওয়া হয়েছে।

১৩৮২নং দাগে লার্ক পোল্ট্রি কে ১০৫শতাংশ জমির সাবরেজিস্টার দলিল বানানোর নথি। যে নথির জন্ম তারিখ ২০-০৫-১৯৯৫ইং।

এখন আগে হিসেব দেখি ১৩৮২নং দাগে লার্ক পোল্ট্রি লিঃ এর জমিদাতা সিরাজুল ইসলামের মোট জমির মালিকানা কতটুকু এবং কিভাবে পেয়েছেন????

১৩৮২নং দাগে সিরাজুল ইসলাম জমির মালিকানা পেয়েছেন যেভাবে_তিন জনের কাছ থেকে।

১/ আক্কাস আলী থেকে ৩১-১০-১৯৫০ ইং তারিখে ৮২৬৫ নং দলিলে =১০৬.৫০শতাংশ।

২/ মোছাঃ ফতেজানবিবি থেকে ২৭-০১-১৯৫৩ ইং তারিখে ১৪৪৯ নং দলিলে= ৩৫.০০শতাংশ।

৩/ আছমত আলী থেকে= ২৭.০০শতাংশ।

১৩৮২ নং দাগে সিরাজুল ইসলামের মালিকানায় প্রাপ্তি মোট জমি= ১৬৮.৬৮শতাংশ।

এখন দেখা যাক লার্ক পোল্ট্রি ফার্মের নামে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার আগে ১৩৮২দাগের মোট মালিকানা থেকে সিরাজুল ইসলাম কতটুকু বিক্রি করেছিলেন।

বিক্রির হিসাব_

১/ সি এন্ড বি রাস্তায় দেন ৩১-০৮-১৯৭২ইং তারিখে =৫৬.৬৭শতাংশ।

২/ আছিয়া খাতুন ০৫-১০-১৯৮২ইং তারিখে ৭৯৩৩নং দলিলে=৩৫.০০শতাংশ।

৩/ মোঃ এ্যাডভোকেট হামিদ গং এর চার দলিলে ১৪-০৫-১৯৮৫ ইং তারিখে ৪৮৭২নং দলিলে =১৭.৫০শতাংশ।

৪/ মোঃ ফাইজুর রহমান ০৫-০৪-১৯৮৮ইং তারিখে ৪৩৩৬নং দলিলে= ১৭.৫০শতাংশ।

৫/ মোঃ মিজানুর রহমান ৩১-০৩-১৯৯২ ইং তারিখে ২৯৬০নং দলিলে =২৬.২৫শতাংশ ।

৬/ মোঃ মিজানুর রহমান ১৫-১১-১৯৯৩ইং তারিখে ৭৩৪৪নং দলিলে =৯.৫০শতাংশ।

৭/ মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ ০৩-০১-১৯৯৫ইং তারিখে ৯৫নং দলিলে=১৫.৭৫ শতাংশ।

সিরাজুল ইসলামের মালিকানা থেকে সাব রেজিস্ট্রি দিয়েছেন এপর্যন্ত মোট জমি=১৭৮.১৭শতাংশ।

অর্থাৎ ৯.৪৯শতাংশ সিরাজুল ইসলাম অতিরিক্ত সাব রেজিস্ট্রি দিয়েছেন ৩০-০১-১৯৯৫ ইং তারিখ পর্যন্ত।

 

তারপর ২০-০৫-১৯৯৫ ইং তারিখে লার্ক পোল্ট্রির নামে এসে উদার মাসকিকতাপূর্ণ সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে বিনা টাকায় ১৩৮২নং দাগে ১০৫শতাংশ জমি সাব রেজিস্ট্রি করে নেয়_তবে লার্ক পোল্ট্রি ফার্মের মালিকানার কোন জমি দাবির প্রশ্নই উঠেনা আইনগতভাবে। এমতাবস্থায় অগ্রনী ব্যাংক, রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেওয়াটা নিশ্চয়ই দুর্নীতি?? যেখানে পোল্ট্রি ফার্মের কোন অস্তিত্ব নেই।

এই চক্রের জবরদখলে “সামাজিক যানাজার,ঈদগা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ। যেখানে হতদরিদ্র শিক্ষাবঞ্চিত গরীব ও শ্রমিকের শিশুদের বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা।(উক্ত বানোয়াট দলিলে ১৯৯৫ইং সালে জনতা ব্যাংক রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে ৯৬লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল লার্ক পোল্ট্রি লিঃ এর নামে আলাউল কবির)

এভাবেই প্রায় দুইযুগ ধরে নির্যাতিত ভুক্তভোগী আমি শফিকুল ইসলাম নিজে। কয়েকটি উপজেলার শত শত পরিবার নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এবং জিম্মিদশায় জীবন-যাপন করছে। আমাদের মুক্তির পথ তৈরি করে দেওয়ার মতো কোন সরকার বা ডিপার্টমেন্ট এদেশে কি নাই???

তাই প্রানপ্রিয় দেশবাসী ও বাংলার দামাল ছাত্র সংগঠন গুলোর বিশেষ সহযোগিতা কামনা করছি। আমি দেশ ও জাতির কল্যাণের তরে শ্রমিক ও গরীবের শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থায় যে প্রতিষ্ঠান গড়ার চেষ্টা করছি দুইযুগ ধরে।

যে প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা মূল্যের অর্থ-সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। সেই ফাইলটির আইনগতভাবে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠনের কাছে, বাস্তবায়ন করতে চাই আমার সারা জীবনের বাস্তব স্বপ্নটাকে। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছি। দুইযুগ ধরে অমানবিক নির্মম নির্যাতন সয়েছি। যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত বেকার তরুনদের কর্মসংস্থান হবে। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শত শত শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থা হবে। আমি আমার প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠনের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করছি। আমি প্রানপ্রিয় দেশবাসীর প্রতিবাদ কামনা করছি গনতন্ত্র এবং দেশ ও জাতি ধংসকারী উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে। উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর কাছ থেকে অস্র উদ্ধারের বিশেষ অভিযান পরিচালনার দাবি জানাই সিআইডি ডিপার্টমেন্ট এর কাছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রায় তিনশ বিঘা জমি জবরদখল ও বাধ্যবাধকতায় লিখে নেওয়া এবং কালো টাকার পাহাড়ের অনুসন্ধানে দুদকের বিশেষ তদন্তের দাবি করছি।

অনুসন্ধান করুন আমেরিকায় ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন কতশত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছে। গডফাদার কুখ্যাত সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের নামে প্রায় দুই ডজন মামলা সহ আরো অসংখ্য পেন্ডিং মামলার তদন্তের অনুরোধ করছি পিবিআই ডিপার্টমেন্ট এর কাছে।

অর্থাৎ একবার উক্ত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনলে শত শত অভিযোগ জমা হবে প্রশাসনের কাছে। রেব ও পুলিশের কাছে বিশেষ আবদার উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীতে চিহ্নিত অপরাধী সকল সদস্যদের উপরে অভিযান পরিচালনা করে, গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে গনতন্ত্রকে ধংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।

স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর কাছে আকুল আবেদন করছি_অজানা গোপন তথ্যগুলো উদ্ঘাটন করুন। উক্ত খোলা চিঠিতে লেখা প্রতিটা বাক্যের মধ্যে কোন মিথ্যার আশ্রয় থাকলে আমাকে মৃত্যুদন্ড দিলেও আপত্তি নাই। তবে এমন নির্মম বাস্তবতার, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কে হাড় মানানো লোমহর্ষক নির্যাতনের স্বীকার শত শত পরিবার কে কেন উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা হবে না???

কেন উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনা হবে না??? কেন দেশ ও জাতিকে ধংসকারী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর সদস্যদের নির্মূল করা হবে না??? এসব প্রশ্নের উত্তর চাই না। আমি চাই শত শত নির্যাতিত পরিবারের মুক্তি। আমি চাই “শেখ সিরাজ জনশক্তি আন্তর্জাতিক জ্ঞানকেন্দ্র” এর বাস্তবায়ন। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গরীব ও শ্রমিকের শত শত শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থা হবে।

আমি চাই নাগরিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে একটি সফল সরকার প্রতিষ্ঠিত হউক। আমি চাই রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা সার্বজনীন হউক। আমি চাই সরকার জনতার সম্মিলিত উদ্যোগেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন হউক_শফিকুল ইসলাম

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com