বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক ঢাকার এক বাড়িওয়ালা অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: খসরু চৌধুরী এমপি-১৮ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সহস্রাধীক পরিবারের মাঝে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ঈদ উপহার বিতরণ  ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পুষ্পস্থবক বিনম্র শ্রদ্ধা

ডিম ও মুরগির ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে প্রান্তিক খামারীদের আহবান 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

এম আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী : গাজীপুর 

৬ ফেব্রুয়ারি, সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ) প্রান্তিক খামারীদের ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপিএ সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। সম্মেলন তিনি বলেন, শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যলয়ের পোল্ট্রি সাইন্সের প্রফেসর আনোয়ারুল হক বেট স্যারের গবেষণায় প্রান্তিক খামারিদের ডিম ও মুরগির বর্তমান উৎপাদন খরচ বের করেছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংবাদিক উদ্দেশ্যে বলেন প্রান্তিক খামারীদের একটি ডিম উৎপাদন খরচ ১১.১১ পয়সা, ১ কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন খরচ ১৪৮ টাকা, ১ কেজি সোনালী মুরগি ২৬২ টাকা। যাতে করে ডিম ও মুরগির সঠিক বাজার রিপোর্ট করে তুলে ধরতে সহায়ক হবে এবং প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ভোক্তাদের সামনে তুলে ধরবেন। সকল সাংবাদিক ভাইদেরকে বলবো প্রান্তিক খামারীরা যাতে ডিম ও মুরগির ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে পারে সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। শেখ হাসিনার নির্দেশ ধা হবে নিরুদ্দেশ। ভোগ্যপন্য উৎপাদন করে তাদের সহযোগিতা করে উৎপাদন বাড়ানো। ১৬কোটি মানুষের প্রোটিনের যোগান দাতা পোল্ট্রি খামারিরা আজ কেন খামার বন্ধ করে দিচ্ছে জানতে চাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে কর্পোরেটদের ভাগ্য বদল হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছে ডিম মুরগি উৎপাদন কারী প্রান্তিক বেকার যুবক ও নারী উদ্যোক্তা গণ। কর্পোরেটদের সরকার সকল সুযোগ সুবিধা দিলেও প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীগণ অবহেলিত কেন প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন কে ধরে রাখতে হবে তা না হলে কর্পোরেটদের কাছে জিম্বি হয়ে পড়বে ভোক্তা ও খামারিগণ। এই শিল্পে জড়িত আছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান। এই শিল্প যদি ধ্বংস হয়ে যায় বেকারত্ব বেড়ে যাবে এবং ডিম ও মুরগির সংকট দেখা দিবে। তাই এদেরকে যেভাবে হোক টিকিয়ে রাখতে হবে। জিম্মি হয়ে আছে গুটিকয়েক কর্পোরেট কোম্পানীর কাছে। পোল্ট্রি ফিড মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির বাজার। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর পোল্ট্রি শিল্প কিন্তূ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্ব অবহেলায় আজ প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীরা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

 

প্রাণিসম্পদের সহযোগিতায় কর্পোরেট কোম্পানী আরো বড় হচ্ছে, আর প্রান্তিক খামারি দিন দিন ন্যার্য্য মূল্য না পেয়ে লস করে খামার বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য পোল্ট্রি স্ট্রোক হোল্ডারদেরকে নিয়ে ২০১০ সালে একটি জাতীয় কমিটি করা হয়। পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির কৌশলপত্র তৈরী করা ২০২২ সাল পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিপিএর পক্ষ থেকে নভেম্বর ২০২২ এ সরকারের সকল মহলে যোগাযোগ করা হলে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরকে কৌশলপত্রটি ৩০ দিনের সময় দিয়ে বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও অদ্যাবদী কোন অজানা কারণে এখন পর্যন্ত তারা কৌশলপত্র তৈরী করেননি। বাংলাদেশে পোল্ট্রি সেক্টর অবহেলিত কেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে জবাব চাই।

কর্পোরেট কোম্পানীগুলো ১০% ডিম ও মুরগি এবং পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চা ১০০% উৎপাদন করে। তাই কর্পোরেট কোম্পানীগুলোর কাছে দেশের বৃহত্তর পোল্ট্রি শিল্প জিম্মি হয়ে পড়ছে। প্রান্তিক খামারীগণ ডিম ও মুরগি ৯০% উৎপাদন করেন। ১০% উৎপদন করে কৌশলে কর্পোরেট কোম্পানীগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুমতি থাকলেও তারা কোন কোম্পানীকে তদারকি বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন না। তাই দিন দিন পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দিয়ে কন্ট্রাক খামারে নেয়ার জন্য বাধ্য করেন প্রান্তিক খামারীদের। তাই সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদনকে ধরে রাখতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশে আমিষের ঘাটতি দেখা দিবে এবং কর্পোরেট কোম্পানীদের উপর নির্ভর করতে হবে। সকল কর্পোরেট কোম্পানীগুলো স্বেচ্ছাচারীতায় কখনও ডিম ও মুরগির উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে খামারীদের লসে ফেলে দেয়। কখনও ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে মুরগির বাচ্চার উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে এবং কখনও ভুট্টা ও সয়াবিন মজুদ করে কৌশলে পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রান্তিক পর্যায়ে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে।

 

সমাধাণ: ২০০৮- ২০২০ সবগুলো পোল্ট্রি নীতিমালা বাস্তবায়ন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে সরকারের কাছে জবাবদিহি করণ,

সকল খামারীকে নিবন্ধনের আওতায় এনে বাজার ব্যবস্থাপনা,পোল্ট্রি খামারীদের জন্য সকল ব্যাংকে জামানতবিহীন লোনের ব্যবস্থা করা,প্রান্তিক খামারীদেরকে ভর্তুকি দিয়ে দাম কমিয়ে রাখাসহ সরকারি সকল সুবিধা দেওয়ার আহবান জানান।

সংবাদ সন্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহ-সভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শামসুর রহমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ শফিউর রহমান রিমন, দপ্তর সম্পাদক মেজবাহ মারফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সোহরাব হোসাইন, আলমগীর হোসাইন সহ সকল জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com