শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক ঢাকার এক বাড়িওয়ালা অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: খসরু চৌধুরী এমপি-১৮ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সহস্রাধীক পরিবারের মাঝে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ঈদ উপহার বিতরণ  ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পুষ্পস্থবক বিনম্র শ্রদ্ধা প্রতারক হুমায়ুন কবির ও তার পরিবার

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কলাপাড়ার কৃষক জাকির

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কলাপাড়ার কৃষক জাকির

রাসেল মোল্লা পায়রাবন্দর কলাপাড়া প্রতিনিধি// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমির মারা গ্রামের জাকির হোসেন অসময়ে তরমুজ চাষ করে বেশ সফলতাও পেয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট লেবুখালী পটুয়াখালী থেকে ফসলের ভিডিও দেখে বারি
০১ও বারি ০২ তরমুজ’ বিষয়ে জানতে পারেন। পরে তাদের পরামর্শে তরমুজ আবাদ চাষ করার উদ্যোগ নেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার জমিতে ছোট ছোট মাচায় ঝুলছে কালো আর সাদা রঙের নানান আকৃতির তরমুজ। তরমুজ চাষ করে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সারা ফেলেছে। তরমুজ খেতে ও দেখতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে তার বাগানে ছুটে আসছেন লোকজন।

 

শুধু দেখতে নয়, বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন তরমুজ কিনতেও ছুটে আসছেন। জমি থেকেই বিক্রি করছেন সেই তরমুজ।

গ্রীষেকালীন তরমুজের ব্যাপক আবাদ হলেও কলাপাড়া উপজেলা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে প্রথম বারের মতো বর্ষাকালীন সময়ে তরমুজের আবাদ করে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছেন তরমুজ চাষি জাকির হোসেন । অসময়ে তরমুজের ফলন দেখে খুশি গ্রামাবাসী।

সঠিক পরিচর্যা ও দেখভালের কারণে ভালো ফলন হওয়ায় অধীক লাভবান তিনি

চাষি জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন রাজমিস্ত্রীর কাজ করেতেন তিনি সে কাজ বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষিকাজ করবেন।

নিজেদের ৩৩ শতাংশ পতিত জমিতে রোপণ করেন বীজ। সেই বীজ থেকে চারা হলে তৈরি করেন মাচা। সেই মাচায় এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে জাকির হোসেন স্বপ্নের তরমুজ।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান, স্বপন, জহির বলেন, প্রথমে জাকিরের মাচা করতে দেখে তাকে আমরা পাগল বলতাম এরপর দেখি

স্বল্প সময়ে ফলন পাওয়া এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় জাকির এর দেখাদেখি আমাদের গ্রামের অনেক কৃষক তরমুজ আবাদে ঝুঁকেছেন।

 

জাকির হোসেন জানান, তার জমিতে বর্তমানে বিভিন্ন সাইজের তরমুজ রয়েছে। প্রতিদিনই ক্ষেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। প্রতিটি তরমুজ একশ টাকা থেকে শুরু করে দুইশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। তরমুজের কাটার পর ভিতরের রং করা হলুদ ও সাধ মিষ্টি হওয়া এর চাহিদা একটু বেশী রয়েছে ক্রেতার কাছে।

জমি তৈরিসহ আমার সর্বমোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। আর জমিতে থাকা তরমুজগুলো আশা করি বিক্রি করতে পারবো একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ বলেন, শুধু কুমিরমারা নয় উপজেলার সব ইউনিয়নে কৃষকদের আমার আধুনিক টেংনি দিয়ে তরমুজ চাষ করতে উদ্বিদ্র করবো।
##
রাসেল মোল্লা “কলাপাড়া
২৭.৭.২০২১

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com