মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তুহিন : যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোর বেনাপোলে স্থানীয় জনগণ এবং যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটির ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ যাত্রী এখন লাগেজ পার্টি নামধারী চোরাকারবারী। পাসপোর্ট- ভিসার মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট আন্তর্জাতিক এই ট্রেনটি দখল করে নিয়েছে। ট্রেনটি দখল নিয়ে প্রতিদিন ট্রেন বোঝায় করে চোরাকারবারীরা ভারতীয় মালামাল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করছে।
এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি- পিছ, কম্বল, কসমেটিক্স, শাল সোয়েটার সহ বিভিন্ন পণ্য। এসব পণ্যের ভিতরে আবার কৌশলে আসছে মাদকদ্রব্য। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে র্যাব- ৬, যশোর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ সময় ০৮.৫০ ঘটিকায় র্যাব- ৬ যশোর ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে কলকাতা হইতে ঢাকা গামী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে অবৈধ ভাবে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল আমদানি করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র্যাব- ৬ যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল একই তারিখ আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় উক্ত ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বিদেশী মদ সহ সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে। এছাড়াও দালাল এবং ছিনতাইকারীদের হয়রানি বন্ধে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ ইমিগ্রেশনে সহায়তা করে এবং ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত সকল মালামালের রাজস্ব আদায়ের জন্য কাস্টমসকে সহায়তা প্রদান করা হয়। ফলে ১ দিনে সরকারের প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়। অপর দিকে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারী সিন্ডিকেট, ছিনতাইকারী এবং দালাল চক্র ষ্টেশন এলাকা থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। র্যাব- ৬ যশোর কর্তৃক জব্দকৃত মালামাল পরবর্তীতে যশোর বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে একটি অজ্ঞাত মামলা রুজু করা হয়। উক্ত অভিযানের ফলে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ সহ বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাধারণের হয়রানি দূর হবে বলে সাধারণ জনগণ স্বস্তি প্রকাশ করেন। চোরা- কারবারীদের গ্রেফতার সহ সরকারী রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাধারণের হয়রানি দূর করতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে।