রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩২ অপরাহ্ন
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনা, তারিখ ১৫.০৭.২০২১ইং প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গোটা বিশ্ব এখন দিশেহারা। সংক্রমণরোধে সর্বত্র চলছে লকডাউন। দোকানপাট বন্ধ। কর্মহীন হয়ে পড়ায় নানাবিধ সংকট বাড়ছে। নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তরাও সংকটে পড়েছেন। কারো কাছে হাত পাততেও পারছেন না অনেকে। দিনমজুর, হত দরিদ্র,
নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষও সরকারের নির্দেশে ঘরে বসে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করছেন। কিন্ত এই সকল শ্রেণী মানুষের কয় জনের ঘরে খাবার রয়েছে। না, বেশি’র ভাগ মানুষের প্রতিদিনের আয় দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্ত কি করার জীবনের তাগিদে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঘরে বসে সময় কাঁটাতে হচ্ছে।
এমনি ক্রান্তিকালে অনেক বিত্তশালী ও প্রভাবশালীরা ঘরে বসে রয়েছে। আবার অনেকে করোনা ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার তুলে দিচ্ছেন। এমনি এক মানবতার সেবক চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম। তিনি তার উপজেলার মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।
মানুষ মানুষের জন্যে জীবন জীবনের জন্যে
এ মহৎ বাণীকে ধারণ করে আর্তমানবতার সেবায় মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছেন তিনি।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।
করোনার এ দুর্যোগকালে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে অসহায় মানুষদের জন্য সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী, পিপিই, স্যানিটাইজেশন বিতরণ করে যাচ্ছেন।
তার মহত্বের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা শুধু সাধুবাদযোগ্যই নয় , অনুসরণযোগ্যও বটে। এই মহত্বের বারহাট্টা উপজেলাবাসির মন কেড়ে নিয়েছেন। ফেসবুকে তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা আসনে বসিয়ে একজন আর্দশ মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম
তার নিজ উপজেলার ১০ হাজার, হতদরিদ্র, নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত, ইমাম মুয়াজ্জিন, হিজরা সম্প্রদায়, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থসহ নানা খাদ্য সামগ্রী বিরামহীনভাবে বিতরণ করে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের পাশাপাশি তার অন্যান্য ইউনিয়নের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলার সর্বত্রই তার এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন উদ্যোগ আর সাহায্য সহযোগিতায় তাকে পাচ্ছেন এলাকার জনগণ। কতদিন পর্যন্ত আপনার এই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বলেন , আমার শক্তি সামর্থ যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই মহৎ কাজটি চালিয়ে যেতে চাই । বারহাট্টা উপজেলার কোন মানুষকে না খেয়ে মরতে দেবো না ইনশাল্লাহ। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, এ মহামারি থেকে যেন তিনি আমাদের রক্ষা করেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বুকে লালন করে শুধু করোনা প্রতিরোধে নয় আল্লাহর রহমতে সর্বক্ষণ জনগনের পাশে থেকেই কাজ চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
মাইনুল হক কাশেম বলেন, অসহায়দের পেটে যতোদিন ক্ষুধা আছে ততদিন তাদের পাশে থাকতে চাই। এটাই আমার তৃপ্তি। অসহায় মানুষগুলো পেটপুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়, এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল। আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার পরে তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
মাইনুল হক কাশেম আরো বলেন, মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় আমি এ পর্যায়ে এসেছি। আমার সামর্থ্যের ওপর তাদের হক আছে, বিলিয়ে দেওয়ার মাঝে যে সুখ, তা অনেক কিছুতেই পাওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি সেটাই আমার প্রত্যাশা। যতদিন মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে সুস্থ-সবল রাখবেন, ততদিন মানুষের কল্যাণে আমার পথচলা বহমান থাকবে।
বারহাট্টা উপজেলা মুক্তিযাদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহ মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের যে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন, তিনি সে লড়াইয়ের সামনের সারিতে আছেন। করোনা প্রতিরোধে এই দুঃসময়ে নিশ্চিত তিনি একজন নির্ভীক বীর সেনা হিসেবে প্রশংসিত হবেন।
বারহাট্টা সরকারি কলেজের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম রেজভী বলেন,আমি ফেসবুকে যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম‘ মানবতার সেবক, একজন মানবতার ফেরিওয়ালা।
বারহাট্টা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহম্মেদ বাবুল বলেন, দুর্যোগকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাধারন মানুষের মনোবল। করোনার দুর্যোগ সামলে নেওয়ার বিষয়টি যদি সত্যিই যুদ্ধ হয় থাকে, তাহলে এবারও আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। মানুষ যখন দিন দিন আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে , নিজেকে নিয়েই অনেকে ব্যস্ত , অন্যের দু:খ কষ্ট , বিপদ- আপদ যাদের স্পর্শ করে না,তাদের চোখ খুলে দিলেন চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম। তিনি আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মানুষ মানুষের জন্যে।