মো: সাজ্জাত হোসেন, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের ২১.০৫.২০২৩ ইং কালীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় অবহেলা করায় ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসান নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সত্যতা উৎঘাটনে ৩ সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার কালীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা কাজী মোহাম্মদ ওমর ফারুক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে গত ২৯ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরের দিন আবাসিক ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী হাসপাতাল থেকে বুক ও ডান হাতের ২টি এক্সরে করান। দুপুরে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসান রোগী দেখতে গিয়ে সমস্যার কথা জানতে চাইলে রোগী জানায় তার বুকে, হাতে ও পিঠেসহ সমস্ত শরীরে ব্যাথা আছে এবং অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারছে না। ডাক্তার এক্সরে ফ্লিম দেখে তেমন কোন সমস্যা নেই, কোথাও ভাঙ্গেনি আর বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে বলে কোন ব্যবস্থাপত্র না দিয়েই চলে যান। ১লা মে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে রিলিজ করে দেন। কিন্তু শরীরের ব্যাথা না কমায় অবস্থার আরো অবনতি হলে গত ৭ই মে পূনরায় ডাঃ রাকিবুল কে দেখাতে গেলে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন।
পরে গত ১২ই মে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হলে আমার শারীরিক সমস্যার কথা শুনে পূর্বের এক্সরে ফ্লিম দেখে জানান, বুকের ডান পাজরের হাড় ভাঙ্গা তাই ব্যাথা কমছে না। অপচিকিৎসা ও হয়রানীর শিকার সাংবাদিক ফারুক গত ১৪ই মে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মঞ্জুর-ই-এলাহী বরাবর ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসান জানান, এক্সরে ফ্লিম দেখে আমার মনে হয়নি ভিতরে কোন হাড় ভাঙ্গা। সিটি স্ক্যান করলে হয়তো বিষয়টি পরিষ্কার বুঝা যেতো।
এ সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মনজুর-ই-এলাহী বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলো মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ মিরাজুর রহমান, সার্জারী কনসালটেন্ট ডাঃ এলিজা সুলতানা ও ডাঃ আবিদুল আরিফিন রেজভী। কিছু কাগজপত্র হাতে পেলেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।
ছবির ক্যাপসনঃ ১. কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
২. অভিযুক্ত ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসান।