সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
রাজধানী, ২৮/০৭/২০২৩ ইং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার ছলে বলে কৌশলে বিভিন্ন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতা দখল করে এদেশ শাসন করছে। তাদের এই শাসন আমল ছিল নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত। ক্ষমতা পাকাপোক্ত এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দুর্নীতি, মাদক এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছে। সমগ্র দেশকে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এখন সময় তাদের বিদায় নেয়ার। এবং বিদায় নিতেই হবে।
তিনি শুক্রবার রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এলডিপি আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, এই সরকার বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। জনগণের নাই সাংবিধানিক বা মৌলিক অধিকার। জনগণ হল দেশের মালিক কিন্তু বর্তমানে আমরা চাকর। কথা বললেই আমরা নির্যাতন এবং নিপিড়নের শিকার। এমনকি জনগণ ভোটের অধিকারও হারিয়ে ফেলেছে।ভোটের মালিক মোক্তার সরকারি কর্মকর্তারা, সরকার কে চালাবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক তারাই। রক্ষক এখন ভক্ষক। জনগণ এখন বিভিন্ন বাহিনীর হাতে জিম্মি। দেশে প্রকারভেদে আইনের প্রয়োগ, নূন্যতম অধিকার নিয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস করার সুযোগ থেকেও আমরা বঞ্চিত, দেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। গায়ের জোরে দেশ চলে, আইনের কোন প্রয়োজন নাই। এভাবে আর কত দিন চলব, ১৮ কোটি মানুষ এভাবে বোকারমত ঘরে বসে থেকে নিঃশেষ হয়ে যাবে নাকি নিজের অধিকার, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য সোচ্চার হব। দেশকে এবং যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আমাদের সকলকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আসুন সবাই মিলে দেশকে রক্ষা করি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। হিংসা,প্রতিহিংসা, লোভ লালসা পরিহার করি।আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী নিজকে পরিচালিত করি। দেশ এবং জনগণের প্রতি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠ, পক্ষপাতহীন জাতীয় নির্বাচন। এইলক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্বাচন কমিশন পূনঃগঠন, সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা, অস্ত্রবাজদের চিহ্নিত করা, তাদের গ্রেফতার করা, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া, দায়িত্ববোধ, সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করা, হানাহানি এবং মারামারি থেকে চিরতরে বের হয়ে আসা।
এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম চৌধুরী, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, এডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান রুপা চৌধুরী, আইন সম্পাদক এডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহ-দপ্তর ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপি’র সভাপতি মো. সোলায়মান, পশ্চিম এলডিপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপি’র সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, গণতান্ত্রিক ওলামা দলের সভাপতি মুফতি মাওলানা সাদিকুর রহমান, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।