বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, পুনরুজ্জীবিত বেগম জিয়ার উপহার এ্যাম্বুলেন্স: উপাচার্যের প্রশংসনীয় উদ্যোগ।।  পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সিলেটে ছয় মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার সেনা অভিযানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ সুনামগঞ্জে এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার পর শাল্লায় ফের গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ!  বিএনপির পক্ষ থেকে আজমল হুদা মিঠুর পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ ভারত বন্ধু রাষ্ট্র  মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি চাকরিবিধির তোয়াক্কা না করে একইসঙ্গে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি সাভারে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ! বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার দোয়া ও মাহফিল 

দুমকিতে ঈদ উল আযহা ঘনিয়ে আসায় জমতে,শুরু করেছে পশুর হাট বাড়ছে ক্রেতা সমাগম

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কোরবানির পশুর বাজারও জমতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার ক্রেতাসমাগমে বাজার এবার সরগরম হয়ে উঠছে।

দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনা ব্যাপক জমে উঠেছে বলে জানান বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, এবার প্রতিটি খামারেই অনেক গরু রয়েছে। তাদের ধারণা চাহিদার চেয়ে এবার গরু বেশি। তাই এখনো বাজার না জমলেও এবার বিক্রি কম হবে। একাধিক পাইকার জানান, এবার তাদের খামারে যে পরিমাণ গরু আছে তাতে সঙ্কট হবে না। তবে খাদ্যের দাম বাড়াতে গরু লালন পালনে খরচ বেড়েছে।

এতে গত বছরের চেয়ে এবার পশুর দাম তুলনামূলক কম। এ পর্যন্ত বাজারে যে পরিমাণ ক্রেতা তা গত বছরের চেয়ে কম। এতে মনে হয় এবার বাজারে প্রত্যাশিত ক্রেতা নাও মিলতে পারে। দুমকির বালুর মাঠ বোর্ড অফিস বাজার, কাল ভার্ড বাজার, তালুকদার হাটসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে রাখা কোরবানির পশুগুলো দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

তবে হাটে সব ধরনের ও বিভিন্ন আকৃতির গরু, ছাগল ও দুম্বাও দেখা যায়। গরুর চাহিদার বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, এখনো তেমন দরদাম না হলেও যারা আসছেন তাদের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর বিষয়ে তাদের ভাষ্য- প্রতি বছরই এমনটা হয়। ছোট ও মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হলেও বড় গরুর চাহিদা কম থাকে। এবারো তা হবে কি না তা বাজার পুরোপুরি শুরু হলে বুঝা যাবে।

আর দামের বিষয়ে তাদের ভাষ্য, এবার দাম ভালো মিলবে এবং আকারভেদে দাম কমবেশি হবে। গরু ছাড়াও উপজেলার স্থায়ী অস্থায়ী পশুর হাটে খাসি, ছাগল, দুম্বা ও ভেড়া রয়েছে। এগুলোর দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, ‘দাম এখন চেয়ে কী লাভ। ক্রেতা তো নেই। বাজার বুঝে দাম নির্ধারণ করব। দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিক্রেতারা জানান, তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ ও ধারদেনা করে খামারে গরু পালন করেছেন। ফলে কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে না পারলে ঋণের বোঝা বইতে হবে।

একজন পাইকার জানান, গত বছরে যে গরুর দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ছিল এ বছর সেই গরু ৯০ থেকে ১লাখ। এভাবে গরুর আকার অনুযায়ী দামেও তফাত রয়েছে। এখন ক্রেতা কী পরিমাণ হবেন তা নিয়ে এখন তাদের দুশ্চিন্তা। এ দিকে এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিশাল চাহিদা মেটাতে দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদিপশু রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। হাটে স্থানীয় খামারিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। হাটে পর্যাপ্ত ক্রেতা-বিক্রেতা রয়েছে। বেচাকেনা ধীরে ধীরে বাড়ছে।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, বেচাকেনাও তত বাড়ছে। হাটে আসা পাইকারদের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com