বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
আমি কেন বারবার আসামি হচ্ছিঃ সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল বড়াইগ্রামে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত চাকুরীবিধি অমান্য করে শিক্ষককে বরখাস্ত ও হয়রানি  মধ্যরাতে উত্তাল ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে: ডা. ইরান মরহুম বিএনপি নেতা লাল মিয়া মেম্বারের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে ১০ হাজার লোকের সমাগম : দোয়া ও মোনাজাত  বড়াইগ্রামে সাবেক এমপি’র ব্যাক্তি মালিকানা স্কুলে সরকারি বরাদ্দ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দক্ষিণখানে রাস্তাও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে :  ডিসেম্বরে শেষ হবে দক্ষিণখান-উত্তরখানের প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজ: ডিএনসিসি’র প্রশাসক পাচাররোধে সীমান্তে নজরদারি : ভারতে পাচার হচ্ছে স্বর্ণ : তিন মাসে ট্যাক্স আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ১৫ লাখ টাকা দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ জগৎশ্রী সম্মান ২০২৪ এ পেলেন, স্বাধীনতা দিবস উৎসব উদযাপন সমিতি। 

“ঈদুল আজহার ত্যাগের মহিমায় ও সন্তুষ্ট সর্বময় সৃষ্টিকর্তার”

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

কাজি আরিফ হাসানঃ

মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদ উল আজহা। এই ইদুল আজহা বা কোরবানি একমাত্র আল্লাহতালাকে খুশি করার জন্য। পবিত্র কোরবানি পশু মুসলিম ব্যক্তির সমর্থ্য অনুযায়ী (গরু,মহিষ,উট) তিন ভাগ/পাঁচ ভাগ অথবা সাত ভাগে কোরবানি দেয়া যায়। এই পবিত্র জানোয়ার বা পশু প্রত্যেক সমর্থ বান ব্যক্তির ওপর ফরজ। সম্পদশালী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের ওপর ভিত্তি করে একাধিক পশু কোরবানি দিতে হবে।

ঈদউল আজহার এদিনে ব্যক্তি তারদের সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রয় করা চার পা বিশিষ্ট পশু(গরু,ছাগল,মহিষ,উট,দুম্বা) কোরবানি করবে। সকালে নামাজ পড়ার পর পশুকে গোসল করিয়ে পরে দোয়া পড়ে পশুর গলায় আল্লাহ আকবর বলে ছোরা ছালাবে।

এই পশু কোরবানি সম্পর্কে আল্লাহ এরশাদ করেছেন,এই কোরবানি পশুর মাংশকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে- এক ভাগ ফকির/মিসকিনদের,একভাগ আত্নীয়-স্বজনদের আরেক ভাগ নিজেদের জন্য সমান ভাগে বন্টন করতে হবে। ঘুরে ফিরে আবার সেই হযরত ইব্রাহিম(আঃ) ও হযরত ইসমাইলমে (আঃ) গল্প মনে পড়ে যায়। এক রাতে আল্লাহ হযরত ইব্রাহিম(আঃ)কে স্বপ্নে নির্দেশ দিলেন তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তকে আল্লাহ উদ্দেশ্যে কোরবানি দিতে হবে। পরের দিন হযরত ইব্রাহিম(আঃ) চিন্তা করলে তার প্রিয় বস্ত কি? কিছু না ভবে তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইল(আ:) তার প্রিয় এবং তাকে আল্লাহ উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন। এর পর তিনি হযরত ইসমাইল(আ:)কে গোসল করিয়ে পরে শুয়ে দিয়ে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে পুত্র ইসমাইলের গলায় আল্লাহ আকবর বলে ছোরা চালালেন এবং তখন ইব্রাহিম(আঃ) পাশে দেখেন তার পুত্র ইসমাইল বসে আছে আর সাদা কাপড়ের নিচে দুম্বা জবেহ হয়েছে।

এই পরীক্ষা হযরত ইব্রাহিম(আ:) উত্তির্ন হন এবং এর থেকে আল্লাহ বুঝাতে চেয়েছে মানুষে ত্যাগের মহিমার গুরুত্ব। এই পবিত্র কোরবানির কারনে মানুষে মধ্যে যে পশুত্ব বোধ সেটাকে বিসর্জন দেওয়া আর আল্লাহকে খুশি করা। আল্লাহর কাছে পশুর রক্ত,মাংশ,চামড়া কোনো কিছুই পৌছায় না,শুধু পৌছায় আল্লার জন্য মানুষে ত্যাগ বা উৎসর্গ। একটা পশুকে যখনই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে গলায় ধারালো ছোড়া চালানো হয় আর সেই পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে পৌছে যায়।পশু কোরবানির মাংশ গরিব-মিসকিনদ,স্বজনদের হক আর তৃতীয় ভাগ নিজেদের পরিবারদের জন্য তাই এই পশুর কোরবানির মাংশ সমান ৩ ভাগে বন্ট করতে হবে যা মহান সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কোরআনে বার্তা দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com