বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
হাকিকুল ইসলাম খোকন,
“ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে লন্ডনে হাইকমিশনের সামনে প্রবাসীদের বিক্ষোভ
রাষ্ট্রীয় মদদে স্বাধীন বাংলাদেশের সুতিকাগার
বাঙালীর শিকড়,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও দেশব্যাপি আবার ও জঙ্গি হামলা,মব জাস্টিস এর বিরুদ্ধে ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে গত ৬ ই ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় দুপুর ২টায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বৃটেনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েক শত প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাইকমিশনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রবাসীরা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেন। খবর বাপসনিউজ।
সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে হাইকমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট একটি প্রতিবাদ স্মারকলিপি ও হস্তান্তর করেন নেতৃবৃন্দ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিজুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হরমুজ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আ স ম মিসবাহ, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সুরুক আলী, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান মোজাহিদ,নথ লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হাসান, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান , যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আঞ্জুমারা অঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শাহিনা আক্তার, সামিরুননেছা,আসমা আলম, নাজমা বেগম,যুবনেতা মুহম্মদ জুবায়ের, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি তামিম আহমেদ,আব্দুল হান্নান, হাজী জিল্লুল হক, মোবারক আলী,ফয়েজ খান তৌহিদ, ও খালেদ আহমদ শাহীন সহ অংগ সংঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন বলেন গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে ঢাকাসহ দেশ জুড়ে একযোগে আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্টদের স্থাপনায় যত হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ছিল জঙ্গিগোষ্টী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সুপরিকল্পিত একটি পরিকল্পনা। এর পেছনে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুলল্লাহ, সারজিস আলম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও ড. ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিদেশ থেকে এদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছে পিনাকী ভট্র, ইলিয়াস হোসেন, কনক সরোয়ার, সহ কয়েকজন । যারা বিদেশে বসে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর পেছনে ড. ইউনুসের সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ বাঁধা দেয়নি। পুলিশি এবং আর্মি দূর থেকে নীরবে দাড়িয়ে দেখেছে জঙ্গিদের উল্লাস ।
হামলা কারীরা যখন ভবন গুড়িয়ে দিচ্ছিল তখন দেখাগেছে হামলাকারীদের কয়েকজন ওই ভবনে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পতাকা টানিয়েছে। দেশব্যাপী ভবন ভাংচোর করতে ব্যবহার করা হয় সরকারী এস্কেভেটর। এতে বিষয়টি পরিস্কার অন্তবর্তি কালীর সরকারের পৃষ্টপোষকতায় হামলাকারীরা দেশব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে। বিষয়টি আরো পরিস্কার পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদে স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭১ এর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
বিক্ষোভ কারীরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন- এই সরকার বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর থেকে দেশব্যাপী মবজাষ্ট্রিজ, একের পর এক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা এবং দেশব্যাপী জঙ্গিদের উত্থান এরই ইঙ্গিত বহন করে। সমাবেশকারীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সমূহ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন আপনারা বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করুন। বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির মাঝে বসবাস করে আসছে। এখানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সম্পৃতির মাথে বসবাস করে অভ্যস্থ। বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান নাঠেকাতে পারলে এর পরিনতি ভোগ করতে হবে- ভারত সহ দক্ষিন এশিযার দেশগুলোকে।
এদিকে বাঙালির স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা, সকল সংগ্রামের সূতিকাগার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ি তথা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে ৫ ই ফেব্রুয়ারি বুধবার বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরে লন্ডন সময় রাত ৮টায় সিটি রোডস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম.এ.মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ওয়েলস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা,দালান ভাঙতে পারবে, ইতিহাস মুছতে পারবে না, ৩২ নম্বরে আগুন দিয়ে কুটি কুটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করেছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ধানমন্ডি ৩২ বাংলাদেশের হৃদপিন্ড!”বত্রিশ বাংলার আবেগ; এক একটি ইট এক একটি ইতিহাস||
“রাষ্ট্রীয় মদদে স্বাধীন বাংলাদেশের সুতিকাগার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িটি ধ্বংস করা হচ্ছে।
এর দ্বায় তোমাদের নিতেই হবে।ধানমন্ডি ৩২ এর প্রতিটি ধূলিকণা একদিন কথা বলবে,”ধানমন্ডি ৩২ শুধু একটি ঠিকানা নয়, এটি মুক্তিকামী বাঙালির স্বপ্ন, সংগ্রাম ও প্রেরণার প্রতীক। ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা য়ায় না, ধানমন্ডি-৩২ নাম্বারের বাড়ি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এই বাড়িতে আঘাত করা মানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আঘাত করা। বাড়িটির সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার প্রতিটি দেশ প্রেমিক মানুষের অনুভূতি,আদর্শ ও চেতনা। এই বাড়িতে আঘাত করা মানে প্রতিটি খাঁটি বাঙালির হৃদয়ে আঘাত করা সামিল বলে তিনি অভিমত ব্যাক্ত করে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য বুক ভরা ঘৃনা জানিয়েছেন।
“৩২ ই বাংলাদেশ “বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরই ধানমন্ডি ৩২ হবে উল্লেখ করে বক্তারা আরও
বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সেই সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ পুনর্বার বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন এবং তার সম্মুখে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর চালায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও তার শ্বাপদ শাবকেরা। এটি সুস্পষ্টভাবে একটি ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু এটার জন্য আজকের বিচারহীনতার বাংলাদেশে বিচার প্রাপ্তির জায়গা নেই। আমরা চাই, জনগণের অনুভূতি জাগরণের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও
দেশব্যাপী লাগাতার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।।