বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, পুনরুজ্জীবিত বেগম জিয়ার উপহার এ্যাম্বুলেন্স: উপাচার্যের প্রশংসনীয় উদ্যোগ।।  পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সিলেটে ছয় মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার সেনা অভিযানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ সুনামগঞ্জে এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার পর শাল্লায় ফের গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ!  বিএনপির পক্ষ থেকে আজমল হুদা মিঠুর পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ ভারত বন্ধু রাষ্ট্র  মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি চাকরিবিধির তোয়াক্কা না করে একইসঙ্গে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি সাভারে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ! বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার দোয়া ও মাহফিল 

ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি : বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের তীর্থস্থান                

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ             

হাকিকুল ইসলাম খোকন,

ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর নিজের বাড়ি ছিল না; তিনি ভাড়ায় থেকেছেন বিভিন্ন এলাকায়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপে অনেকেই তাকে বাড়ি ভাড়া দিতে চাইতেন না। যারা দিতেন, তাদের হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হতো। এই হেন পরিস্থিতিতে শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ঢাকায় প্লটের জন্যে আবেদন করেন। ১৯৫৭ সালে ২ হাজার টাকা এককালীন জমা দিয়ে তাঁর নামে ধানমন্ডিতে পিডব্লিউডি-র কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা মূল্যে ১ বিঘার একটি প্লট বরাদ্ধ পান। বাকি ৪ হাজার টাকা ছিল কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।

১৯৬০ সালে বঙ্গবন্ধু আলফা ইনস্যুরেন্সে ৩ হাজার টাকা বেতনে উচ্চপদে চাকরি পান। উচ্চ বেতনের টাকা থেকে বঙ্গবন্ধু ১৯৬১ সালে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। সেই বছরই তিনি সপরিবারে নির্মাণাধীন বাড়িটিতে ওঠেন। তার পরেরটা ইতিহাস, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ীটি। ১৯৬২ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১-এর শুরুতে অসহযোগ আন্দোলনসহ নানা চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী এই বাড়ি। এসব আন্দোলনের পরিকল্পনা প্রণয়ন, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শোনা সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৩২ নম্বরের এই বাড়ি।

এখান থেকেই ট্রাঙ্ককলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ড ও লাল সবুজের পতাকা। এই বাড়িতেই শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। এই বাড়িতেই বঙ্গবন্ধু সপরিবারে জীবন উৎসর্গ করেছেন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এই বাড়িতেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। এ বাড়িতেই ঘাতকেরা ঘটিয়েছে মানবেতিহাসের এক কলঙ্কময় ঘটনা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ বাড়ি একটি ইতিহাস। এ বাড়ির প্রধান ওই ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাস যেখানে সৃষ্টি হয়, সেটিই তো তীর্থস্থান। বাঙালি জাতির তীর্থস্থান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এই বাড়ি। এই বাড়ির সঙ্গে মিশে আছে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। এই বাড়ীর অপরাধ – এই বাড়ীর মালিক পাকিস্তান ভেঙে বাঙালিকে স্বাধীন সার্বভৌম একটা দেশ দিয়েছিল – একটা পতাকা দিয়েছিল যেটা এখানে উত্তোলন করা হয়। একটা মানচিত্র দিয়ে ছিল। পলাশীতে যে স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যায় – সেটা ৩২ নম্বর থেকে উদয় হয়। এখান থেকেই দেয়া হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। তাই তো সেই পরাজিত শক্তির আক্রমণ এই বাড়ীতে। এরা আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের স্বাধিকারের সংগ্রামকে মুছে দিতে চায়। এরা আমাদের সকল অর্জন ধ্বংস করে, তাদের মত ইতিহাস বানিয়ে আমাদের শাসন করতে চায়।বাংলাদেশ এর অবৈধ সরকার এর মদদে মৌলবাদী শক্তির ১৫ আগস্ট ২০২৪ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুই দফাই বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে ।যে অপকর্ম বাংগালি জাতি তাদের কখনো ক্ষমা করবে না ।জনতার আদালতে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে ।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com