নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
মিজানুর রহমান শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ট্রাক মালিক সমিতির বিরুদ্ধে। শেরপুর ধুনট মোড়ের উত্তরপাশ হতে প্রগ্রেসিভ স্কুল পর্যন্ত বাইপাস রাস্তাটি বন্ধ থাকায় জনসাধারণ, রাস্তার পাশে অবস্থিত দোকান পাট, ব্যাংকের এটিএম বুথ, ব্যবসায়ী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ বিষয়ে শেরপুর পৌর প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলেও রাস্তা অবমুক্ত করতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ওই রাস্তার উপর মই রাখাকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছনির লোকজনদের সাথে বগুড়া জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ রাস্তার উপর বালু ফেলে রাখে উক্ত মালিক সমিতি। ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন জনসাধারণের ব্যবহৃত সরকারী পৌর রাস্তাটি বাস/ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য ইজারা নেয়া সম্পত্তি বলে দাবী করে রাস্তা বন্ধ করে দেন তারা। প্রায় ২ সপ্তাহ যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ বাইপাস সড়কটি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
প্রগ্রেসিভ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ধুনট রোডের মোড় হতে ঐ রাস্তা দিয়ে সহজেই স্কুলে যাতায়াত করতেন। কিন্তু, বালু দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে হচ্ছে।
বন্ধ করে দেওয়া ওই রাস্তার পাশে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের ২ টি এ টি এম বুথ রয়েছে। রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ঐ ব্যাংক দুটির গ্রাকরা এ টিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন না।
এটিএম বুথ দুটির নিরাপত্তা প্রহরী রফিকুল ও এমদাদ জানান, অনেক গ্রাহক মোটর সাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন নিয়ে বুথ থেকে টাকা তুলতে আসেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় তারা যানবাহন নিয়ে আসতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মনি, তিতি মুহিদ সহ আনেকে জানান, আমরা যুগযুগ ধরে এই বাইপাস রাস্তা ব্যবহার করে আসছি। সিএস ম্যাপের ২৪১৭ দাগের এই সড়কটি জোর করে দখল করে সেখানে ট্রাক, বালু ফেলে রাস্তাটি বন্ধ করায় জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকার মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির ধুনট মোড়ে অবস্থিত কার্যালয়ে গিয়ে কোন নেতৃবৃন্দকে পাওয়া যায়নি। যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে কল ট্রান্সর্ফাড পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শেরপুর পৌর প্রশাসক আশিক খান জানান, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই। রাস্তা নিয়ে বিবাদমান দু’টি পক্ষকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে রাস্তার উপর স্তুপিকৃত বালু ও ট্রাক অপসারণ করে জনসাধারণের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।