বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, পুনরুজ্জীবিত বেগম জিয়ার উপহার এ্যাম্বুলেন্স: উপাচার্যের প্রশংসনীয় উদ্যোগ।।  পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সিলেটে ছয় মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার সেনা অভিযানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ সুনামগঞ্জে এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার পর শাল্লায় ফের গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ!  বিএনপির পক্ষ থেকে আজমল হুদা মিঠুর পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ ভারত বন্ধু রাষ্ট্র  মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি চাকরিবিধির তোয়াক্কা না করে একইসঙ্গে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি সাভারে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ! বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার দোয়া ও মাহফিল 

ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নিউয়র্কে সভায় বক্তারা : ওসমানীর রণকৌশলে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত হয় 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

হাকিকুল ইসলাম খোকন,

ইতিহাসের সঠিক মূল্যায়ন করা খুবই জরুরি। জেনারেল এমএজি ওসমানীকে তার যথাযথ সম্মান প্রদান করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তার অবদান তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। একটি জাতি যদি নিজেদের ইতিহাস সঠিকভাবে না জানে, তবে তারা সত্যিকার অর্থে উন্নতির পথে এগোতে পারে না।

জেনারেল এমএজি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী প্রধান সেনাপতি,যার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।ইতিহাসে বিজয়ী সমর নায়ক হতে পারা একটি বিরল সম্মান এবং সৌভাগ্যের বিষয়। সৃষ্টিকর্তা জেনারেল এমএজি ওসমানীকে সেই সম্মানে সম্মানিত করেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, জাতি তাকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দৃঢ়চেতা সাহসী নেতা হিসেবেও জেনারেল এমএজি ওসমানী অমর হয়ে থাকবেন। ১ মে ১৯৭৪ সালে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ( বাকশাল) প্রবর্তনের বিরোধিতা করে জেনারেল এমএজি ওসমানী সংসদ সদস্য পদ, মন্ত্রিত্ব এবং আওয়ামী লীগ সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন। এরকম অনন্য ব্যক্তিত্ব ও মানস সত্যিকার অর্থেই উদাহরণ সৃষ্টিকারী হিসেবে ইতিহাসে প্রতিভাত হয়ে আছেন।খবর বাপসনিউজ।

গ্লোবাল এলায়েন্স ফর পিপলস রাটস আমেরিকা রিজিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল এলায়েন্স ফর পিপলস রাটস আমেরিকা রিজিয়নের প্রধান , এমজি-৫ এর সিইও , ইউসিবি নিউজের সম্পাদক এমজেড ফয়সাল এর সভাপতিত্বে প্রফেসর জাফর আলী , ইউসিবি ২৪ এর প্রকাশক ডাক্তার এইচ এম ফখরুল ইসলাম, ইউএস বাংলাদেশ এডুকেশন এন্ড কালচারাল ডেভোলাপমেন্ট এর উপদেষ্টা হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন , গ্লোবাল এলায়েন্স ফর পিপলস রাটস ব্রিটেন রিজিয়নের প্রধান হুমায়ুন কবির রুমেল ,অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন , প্রফেসর নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

২১ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্কের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন , কিংস কলেজের ভাইভায় একজন এক্সামিনার জেনারেল এমএজি ওসমানীকে বললেন, “মি. ওসমানী, তুমি কি তোমার এই খর্বাকৃতি সম্পর্কে অবহিত আছ?

ওসমানী বললেন, “হ্যাঁ, আছি।”ঐ এক্সামিনার আবার বললেন, “এই ছোটখাট শরীর নিয়ে তুমি কীভাবে বিশালদেহী পাঞ্জাবী, সিন্ধি, পাঠানদের কমান্ড করবে?” তরুণ ওসমানী তখন জবাব দিলেন, “স্যার, আমার খর্বাকৃতি সম্বন্ধে যেমন আমি সচেতন আছি, তেমনই আমি এটাও জানি যে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট থেকে আমি দু’ইঞ্চি লম্বা।” (তথ্যসূত্র: মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া সম্পাদিত ‘স্বাধীনতা–সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা’ বই; ২য় খণ্ড; পৃষ্ঠা- ৪৬)

বক্তারা বলেন , ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীর মৃত্যু দিবস । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতির প্রয়াণ দিবসে ওভাবে কাউকে একটু শ্রদ্ধা জানাতে বা স্মরণ করতে দেখিনি। রাষ্ট্রীয়ভাবেও কোনো আয়োজন লক্ষ্য করা যায়নি। রাষ্ট্রের কি কোনো দায় নেই?

শাসকদের প্রয়োজনে ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে বক্তারা বলেন , এদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাসক তাদের প্রয়োজনে ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। ক্ষমতার সিংহাসনে আরোহণ করলেই বাকিদের অবদান বাদ দিয়ে শুধু নিজ গোত্রীয়দের ‘দেবতা’ বানিয়ে ব্যক্তিপূজায় ব্যস্থ হয়ে যায় ।

বক্তারা আরো বলেন , দেশ স্বাধীনের পর থেকে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এ বঙ্গবীরের জন্ম ও মৃত্যু দিবসটিকে স্মরণ করা হতো‌ না। এর কারণ ছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ‘বাকশাল’-এর বিরুদ্ধেএমএজি ওসমানীর দৃঢ় অবস্থান। ওসমানী তখন বুঝতে পেরেছিলেন এটি ক্ষমতাসীনদের একটি ভুল পদক্ষেপ, এর মধ্য দিয়ে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে এবং এ একদলীয় শাসনের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নেই। এটি স্বাধীনতা ও গণমানুষের প্রত্যাশার বিপরীতে অবস্থান। সে কারণে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি তৎকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

আর এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীকে ইতিহাসের বাইরে, প্রজন্ম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত ‘বিকৃত’ ইতিহাসের কোনো কিছুতেই তাকে রাখা হয়নি। এদেশে ক্ষমতাসীনদের কেউ যৌক্তিক সমালোচনা করলে, ভুলকে ভুল বললে, তার দেশের জন্য যত অবদান থাকুক না কেন, তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া হয়।

বক্তারা বলেন , কথিত এক ভুয়া ব্যক্তি নিজের নামের আগে বঙ্গবীর লাগিয়ে রাজনৈতিক ব্যবসা করে বার বার দলবদলের কাজ করেন। সবার উচিত ওই ভুয়া ব্যক্তির নামের পূর্বে বনজীবীর না লাগানো। বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তার দৃঢ়তা, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, গণতন্ত্রে অবিচলতা, নিপুণ সমর কুশীলতার মাধ্যমে তিনি ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামরিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সব মুক্তিযোদ্ধার আস্থার প্রতীক- যার রণকৌশল পরিকল্পনা বাংলাদেশের বিজয়ের পথকে সুগম করেছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com