বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, পুনরুজ্জীবিত বেগম জিয়ার উপহার এ্যাম্বুলেন্স: উপাচার্যের প্রশংসনীয় উদ্যোগ।।  পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সিলেটে ছয় মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার সেনা অভিযানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ সুনামগঞ্জে এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার পর শাল্লায় ফের গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ!  বিএনপির পক্ষ থেকে আজমল হুদা মিঠুর পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ ভারত বন্ধু রাষ্ট্র  মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি চাকরিবিধির তোয়াক্কা না করে একইসঙ্গে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি সাভারে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ! বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার দোয়া ও মাহফিল 

কিশোর অপরাধের দৌরত্ম বেড়েই চলেছে দেশে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে জনগণ

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

কাজি আরিফ হাসানঃ

রাজধানী উত্তর সিটিসহ বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর অপরাধের দৌরত্ম। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী

সমাজে এরা কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। ঢাকার কয়েকটি এলাকায় সরেজমিসে তথ্য নিয়ে জানা যায়,এদের উৎপাত সস্থিতে বসবাস করতে পারছে না এলাকাবাসী।

রাজধানীর উত্তর সিটির কয়েকটি এলাকার মধ্যে দক্ষিণখান ও উত্তরখান থানাধীন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বর্তমান সমাজে উঠতি বয়সের ছেলেরা তাদের বয়স আনুমানিক ১৮/১৫ থেকে ১৮বছরের কিশোররা সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই-ই নয় সেই সাথে তাদের বেপরোয় হয়েও উঠতে দেখাযায়। লিপ্ত হচ্ছে সমাজে নানান অপরাধের সঙ্গে। এ ধরনে উঠতি বয়সের ছেলেদের যেন শাষন করারও কেউ নাই। তথ্য নিয়ে জানতে পারাযায় তাদের এ বেপরোয়া হওয়ার কারন একটাই মরন নেশা মাদক।

উঠতি বয়সের শুধু কিশোররাই নয় এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তরুনীরাও মরণ নেশা গাজা,ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। এ বিষয়ে অনকে শিক্ষার্থীদের মুখ থেকেই তথ্য মেলে,তাদের সংঘষর্ সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে,তাদের সংঘর্য উঠতি বয়সের তরুণ-তরুনীদের প্রেম সংক্রান্ত নিয়ে। তাদের জুনিয়রা যদি সিনিয়রদের সঙ্গে কেনো কথা কাটকাটি করে গালি দিলো তখন জুনিয়রা তাদের সিনিয়রদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাহিরে ডেকে জুনিয়র-সিনিয়রদের মধ্যে সংঘর্ষেরও তথ্য মেলে,শুধু তাই নয় এরা মাদকে সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কারনেও প্রতিদিন সংঘর্ষ হতে দেখা যায় । এমনও শোনা যায় এলাকায় গড়ে ওঠা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালরা তাদের অভিভাবকদের ডেকে এমন ঘটনার জন্য বিচার করলেও তারা পরবর্তিতে এ তরুণ বা তরুণীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে,মানতে চায় না শাসন-বারন ।

এর শুধু তাই নয় এরা চা দোকানের ভিতরে উৎপাতও করতে থাকে না বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় ওলি-গলিতে এমন উৎপাত করে থাকে। এদিকে দক্ষিণখানে এক চা দোকানী কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এরা প্রায় প্রতিদিনই মহল্লার কোনো না কোনো চা দোকনে এসে এমনই করে,এদের জন্য ব্যবসাও ঠিকমত করতে পারিনা। এদিকে এমনও খোজ নিয়ে জানা যায়, এরা মাদকের টাকা যোগাড় করতে শুরু করেছে চুরি, ছিনতাই,চাঁদাবাজি সহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কাজের জড়িয়ে পড়ছে।

এমও দেখা যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে ৬/৭ জন ধরে মারধর করে রক্তাক্ত করছে এবং পাশে থাকা অন্যরা তাদের সংঘর্ষ ঠেকাতেও আসতে দেখা যায় না,এর কারন এই উঠতি বয়সের কিশোররা কারোর সথে কথা কাটাকাটি বা হাতাহাতির মত সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ ছুরি-চাপাটি সংগ্রহ করে এনে মারধর করতে থাকে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এরা অবৈধ ছুরি-চাপাতি কোথায় পায়,কে তাদের শেলটার দাতা ? এছাড়া এ নেশার টাকা জন্য বাবা- মা,ভাই-বোন এমনকি সমাজের বয়যেষ্ঠদের সাথে অসন্মানও করতে দেখাযায়।

এধরনের উঠতি বয়সের ছেলেরা আবার কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতারে ছত্র ছায়ায় থাকে বলে জানা যায়। বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে এ ধরনের উঠতি বয়সের কিশোরদের আবার দেখাও যায়। এর কারনে সমাজে কোন বয়যষ্ঠ ব্যক্তিরাও কিছু বলতে পারেন না। তারা শাসন করা চেষ্ঠা করলে তখন এই উঠতি বয়সের ছেলেরা বলে আমাদের বড় ভাই আছে কিছুই হবে না। এমন কি এ ধরনের উঠতি বয়সের ছেলেরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (সরদার সুরজ্জামান ডিগ্রী কলেজ,আনোয়ারা মডেল ডিগ্রী কলেজ দক্ষিণখান মহিলা কলেজ,গালর্স স্কুল,প্রেমবাগান সংলগ্ন কেসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,বঙ্গমাতা স্কুল এন্ড কলেজ,উদয়ন স্কুল,গাওয়াইর স্কুল রোড,গাওয়াইর পেয়ারাবাগান,উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত নবাবা হবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ)সামনেও দিনের বেলা জটলা হতে দেখাযায় যার কারনে অভিভাবকার তাদের মেয়েরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েও দুষচিন্তায় থাকেন।

পাড়া মহল্লায় মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামনে এ ধরনের উঠতি বয়সের ছেলেদের উশৃঙ্খলতা দেখাযায়। এ বিষয়ে এলাকার অনেক স্থানীয়রা জানান,বৈষম্য বিরোধী আন্দোনের পর যেনো এই সব কিশোররা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর এরা দেশের মধ্যে এতোটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদও করতে পারে না।

এমনকি ৫ আগস্টের পর পুলিশের ওপর আঘাত হানার পর প্রশাসনও সঠিক ভাবে মাঠে সক্রিয় না থাকা এই সব কিশোররা বেপরো হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন । এমন কি শোনা যায় এ ধরনের উঠতি বয়সের কিশোররা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যাগে করে ছুরি-চাপাতিও বহন করে,যখনই তাদের সহপাঠি বা অন্য কারোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তখনই তারা তাদের ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে আঘাত করে তাদের প্রতিপক্ষকে,এমনও তথ্য মেলে।

তাই নয় তাদেরকে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চা দোকান গুলোতে জটলা করে অড্ডা দিতে দেখা যায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই। এ সম্যস্যা শুধু দক্ষিণখান নয় সমগ্রহ রাজধানীর দক্ষিণখান-উত্তরখানসহ সারা দেশজুড়ে। এদিকে তথ্য নিয়ে জানা যায়,উত্তরা ১৪নং সেক্টর সংলগ্ন খানটেক-পাকুরিয়া ও উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরগুলোতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও সেখানেও এমন কিশোর গ্যাংয়ের জটলার মত অবস্থা দেখা যায় না। এ বিষয়ে দক্ষিণখান এলাকার কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারাযায় বর্তমান উঠতি বয়সের ছেলেরা যে কি হয়েছে আমাদের মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েও খুব দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। আর এ বিষয়ে পুলিশও বা কি করছেন যে একটা মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে উশৃঙ্খল,বখাটে ছেলেরা আড্ডাদেয় পিছন থেকে মেয়েদের নাম ধরে ডেকে বাজে আওয়াজ করে।

এদের বিরুদ্ধে আবার প্রতিবাদ করতে গেলে তখন তারা আবার এলাকার বড় ভাই অর্থাৎ রাজনৈতিক পর্যায়ে টেনে নিয়ে যায়। শুধু এ উঠতি বয়সের কিশোররা এটা করেই ক্ষেন্ত নয় তার নেশা করে রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া উচ্চ শব্দে এবং উচ্চ গতিতে বাইক চালিয়েও তার দুর্ঘটনার সন্মখিন হচ্ছে। এদেরকে সমাজে কে শাসন করবে আর কারাই বা এদের শেলটার দাতা ? এদের কেউ কেউ বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়েও এমন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়াচ্ছে বলে জানা এলাকার অনেকেই। সে জন্য কয়েক অভিভাবকে বক্তব্য প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সাদা পোষাকে প্রশাষনের কর্তব্যরত লোক থাকা উচিৎ এবং সেই সাথে প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরসামনে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা একান্ত প্রয়োজন।

এ উঠতি বয়সের উত্তাল যুব সমাজকে রুখতে হবে এবং মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হবে,আর তা হলেই হবে সুষ্ঠ যুব সমাজ। এ জন্য প্রশাষনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বয়যেষ্ঠদের এগিয়ে আসতে হবে। সে সাথে সমস্ত যুবকের সমাজের চোখে উশৃংখল তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং যারা মাদকাসক্ত তাদেরকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে(রিহ্যাব সেন্টার) চিকিৎসা করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ কিশোর অপরাধ অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হলে প্রসাশনকে কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করতে হবে এবং সেই সঙ্গে যুব সমাজকে সুন্দর ভাবে গড়ে ওঠার জন্য সমাজে কিশোরদের সাথে সুলভ আচরণ করতে হবে সেই সাথে খেলা-ধুলার আয়োজন করতে হবে,বিনোদনের সু-ব্যবস্থা করতে এবং এ সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে সরকারের পাশাপাশি দেশের এনজিও গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে এসে সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হবে। সুশিলসমাজের প্রত্যাশা কিশোর গ্যাং রোধে সারাদেশে একযোগে সবাইকে কাজ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com