বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
তৌহিদ, মাগুরার শ্রীপুরে থানা প্রতিনিধি
মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি চাকরিবিধির তোয়াক্কা না করে একইসঙ্গে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার একজন কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের নাম শিশির কুমার শিকদার। তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গঙ্গা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় -এর অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। একইসঙ্গে তিনি শ্রীপুর সেন্ট্রাল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী এবং চাকরি বিধি ভঙ্গের অপরাধ হিসেবে গণ্য। পদাধিকার বলে এই স্কুলটির সভাপতি শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
চাকরিবিধির নিয়মে বলা হয়েছে, কোন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক একাধিক পদে/ চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। যদি এটা তদন্তে প্রমাণিত হয় তাহলে সরকার তার এমপিও বাতিল সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। অথচ ২০০৪ সালের ফেব্রয়ারী মাস থেকে ২২ বছর ধরে এই অভিযুক্ত শিশির কুমার সিকদার দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা গ্রহণ করছেন যা সরকারি চাকরি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংশ্লিষ্ট কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সভাপতি, শ্রীপুরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই বিষয়টি আমলে নিয়ে শিশির শিকদারকে অধ্যক্ষের পথ থেকে অপসারণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে সময় ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির সুপারিশে তাকে আবার সে পদে বহাল করতে বাধ্য করা হয়। অদ্যবধি শিশির কুমার শিকদার শ্রীপুর সেন্ট্রাল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীপুর সেন্ট্রাল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের একজন শিক্ষক বলেন, শিশির কুমার সিকদার ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে যোগদান করে অদ্যবধি অধক্ষ্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বেতন ভাতাদি গ্রহন করছেন। এটি আইনসিদ্ধ নয়, সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এই শিক্ষক আরোও বলেন, ক্ষমতার দাপটে শিশির শিকদার স্কুলের অনেক শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময়ে বাজে আচরণ করে থাকেন।
মাগুরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, কোন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা তো দুরের কথা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া চুক্তি নামাও তার নিজের নামে করা আইন সিদ্ধ নয়।
বিষয়টি ভালোভসবে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।