বৃহস্পতিবার, ১৭ Jul ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
টঙ্গী সাব-রেজিষ্ট্রার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত  বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-৪, পূর্বাচল এলাকা থেকে দালাল চক্র পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক গ্রেফতার রাজীবপুরে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার  ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের সমর্থন পাওয়া যায় না : নাহিদ ইসলাম নিজের ইচ্ছায় সে এই পৃথিবীতে আসেনি। দূষণবিরোধী অভিযানে ৬৯৯টি ইটভাটা বন্ধ, পলিথিন জব্দ প্রায় আড়াই লাখ কেজি ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি, রাষ্ট্রপতির দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাভজনক বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা নাইজেরিয়ান গ্রেফতার ৩ জীবন দিয়ে হলেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করব……এস এম জাহাঙ্গীর

উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে শ্রেণি শিক্ষক দায়ী; ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার

oplus_0

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে শ্রেণি শিক্ষকের অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার শ্রেণি শিক্ষককে দায়ী করছেন। এ সময় তিনি বলেন, উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ সব সময় শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ কল্যাণ ও শিক্ষার সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজকের এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার বিষয়ে আপনাদের অবগত করা এবং আমাদের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান কারা।
তিনি বলেন,আজ আমরা উত্তরা হাইস্কুল এন্ড কলেজের ২০২৫ সালের HSC পরীক্ষায় সংঘটিত একটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এবং এ বিষয়ে গৃহীত জরুরি পদক্ষেপ গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
তিনি বলেন,অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থেকে সর্বমোট ১৬১৩ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে মর্মে ১৬৯৩ জন শিক্ষার্থীরই ফরম পূরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে আমি ১৬৯৩ অন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়েছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছি।

প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক জনাব ড. মো. আমিনুর রহমান তাঁর দায়িত্বে ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও অনিয়ম করেছেন। তাঁর দায়িত্ব ছিলো তাঁর শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফরম যথাযষভাবে পূরণ ও জমা দেওয়া। তার শাখার সকল শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ৮২ জন উত্তীর্ণ হয়। ড. মো. আমিনুর রহমান দুইজন উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে তাদের স্থলে অন্য দুইজন ভুল শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করে জমা দেন। তিনি আরো বলেন,আমার মনে হয় এটি কোনো প্রক্রিয়াগত ভুল নয়, এটি একটি সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত অসদাচরণ ও নৈতিক লঙ্ঘন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইভানা তালুকদার বলেন, আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য গভীরভাবে মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার এবং সকল স্তরের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ আজ আমরা দুঃসময়ের মুখোমুখী হযেছি। এই ঘটনায় আমার সন্তানতুল্য দুই জন শিক্ষার্থীর যে ধরন্যের ক্ষতি হয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই ঘটনায় আমরা সবাই এতটাই বিস্মিত, হকবাক হয়েছি যা ভাষার প্রকাশ করার মত নয়। এভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই। দায়ী বক্তির অবশ্যই শান্তি পেতে হবে।
দোষিদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,
ইতোমধ্যে, কলেজ কর্তৃপক্ষ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পদক্ষেপ স্বরূপ শ্রেণী শিক্ষক ড. মো. আমিনুর রহমানকে তৎক্ষণাৎ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।পাশাপাশি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছেন। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক শান্তি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরীক্ষা দিতে না পারা
শিক্ষার্থীদের জন্য কি ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

ঘটনা জানামাত্র জরুরী ভিত্তিকে শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।

এছাড়াও অধ্যক্ষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জরুরি আবেদন পেশ করেছে-যেন এই দুই মেধাবী শিক্ষার্থী

মানবিক ও ন্যায়সংগত কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
এছাড়াও
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার আর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য তারা আরো সতর্কমূলক ও প্রযোজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে বলে জানান।
এ সময় তিনি আবেগ আপ্লূত হয়ে বলেন এই ঘটনা শিক্ষকের চরম দায়িত্ব অবহেলা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। আমরা স্মৃতিময় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দায়ী এবং দোষী ব্যাক্তিকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরেক শ্রণী শিক্ষিকা বলেন,আমাদের দুই সন্তান ইয়াছিন আরাফাত ও সাজ্জাদ হোসেন পরীক্ষা দিতে না পারার জন্য দায়ী শ্রেনী শিক্ষক ড. মোঃ আমিনুর রহমান। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ তিনি ছিলেন ঔ ক্লাসের অধ্যক্ষ। ঔ দুই শিক্ষার্থীর সকল প্রকার দায় দায়িত্ব ছিলো ওনার। তিনি বলেন, এ কলেজে রয়েছে ১৫ থেকে ষোল হাজার শিক্ষার্থী,একজন অধ্যক্ষের পক্ষে সম্ভব নয় সকল শিক্ষার্থীর নাম রোল মুখস্থ রাখা। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রায় ১৫-১৬ জন শ্রেণি শিক্ষক রয়েছি, পাশাপাশি আমাদের মর্নিং শিপ্টে রয়েছে আনোয়ার হোসেন তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক ডে শিপ্টে রয়েছে আরো ১জন সিনিয়র শিক্ষক, যে কোন সমস্যা নিয়ে আমরা ওনাদের সাথে প্রথমে আলাপ করি, সমাধান না হইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বরনাপন্ন হই। একজন শিক্ষকের ভুলের কারণে আজ আমরা জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে যাচ্ছি।
টেস্ট পরীক্ষা এলাও হওয়ার পর ও তাদের শ্রেণি শিক্ষক আমিনুর রহমান কি কারণে তাদের ফরম ফিলাপে ঘাবলা করেছেন তাদের বোধগম্য নয়। আমরা অন্যান্য শ্রেণি শিক্ষকরা এর সঠিক তদন্ত দাবি করছি,পাশাপাশি দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com