বৃহস্পতিবার, ১৭ Jul ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুর থেকে নিহত জাবিদুরের লাশের ময়না তদন্ত শেষে বাড়ি ফেরার পথে যমুনা সেতু পার হচ্ছিলেন বলে জানান স্বজনগন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত জাবিদুরের সাথে থাকা আপন বড় ভাই দিলু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তারা বর্তমানে ভৈরব রয়েছেন বাড়িতে আসতে রাত সাড়ে ১০টা কিংবা ১১টা হতে পারে।
জাবিদুরের এটা কি পরিকল্পিত হত্যা-নাকি সত্যি সত্যি ঐ ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হওয়া!
এনিয়েও শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন।এছাড়াও ঢাকা থেকে কিভাবে দিনাজপুর গেলো নিহত জাবিদুর? এনিয়েও দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
এদিকে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল থেকে নিহত জাবিদুরের ময়না তদন্তের কাজ শেষ করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার উদ্যেশে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিহত জাবিদুর মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে যাওয়া তার আপন বড় ভাই দিলু মিয়া ও সাথে স্বজনগন।।
এ ব্যাপারে সাথে থাকা আপন বড় ভাই দিলু মিয়া ও সাথে থাকা স্বজনদের মুঠোফোন
নাম্বারে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,গতকাল ২৯জুন(রবিবার)বানিয়াচং থানা পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে তার ভাইয়ের লাশ উদ্ধারের সংবাদটি দেন।
তাৎক্ষণিক তারা সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে দিনাজপুরের উদ্যেশে রওয়ানা দেন।
রাত ১১টার দিকে তারা ঢাকা গিয়ে পৌঁছেন এবং সেখান থেকে বাসে করে তারা রওয়ানা দিয়ে ৩০জুন(সোমবার)ভোর ৪টার দিকে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে পৌঁছান।
এবং সেখান থেকে তারা থানার সকল কার্যক্রম শেষ করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে লাশ নিয়ে যাওয়া পোস্ট মর্টেম এর জন্য।
লাশের পোস্ট পোস্টমর্টাম শেষে দুপুর ১টার দিকে হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে হবিগঞ্জের উদ্যেশে রওয়ানা দিয়েছেন। বর্তমান যমুনা সেতু পার হচ্ছিলেন তখন।
এদিকে মো:-জাবিদুর মিয়া(২২)এর লাশ পার্বতীপুর থানার রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধারকালে তার পাশ থেকে একটি কলা,একটি পানির বোতল ও মানিব্যাগে কিছু টাকা পাওয়া পান বলে জানিয়েছেন স্বজনদেরকে।
এ সময় তার মানিব্যাগের ভেতরে টাকা ছাড়া আর কোন কিছু একস্টা একটা কাগজ পত্র ও পান নাই বলে তাদেরকে জানিয়েছেন।
পরে সিআইডি লাশের ফিঙ্গার পিন্ট সংগ্রহ করে তার পরিচয় সনাক্ত করেন।
কিন্তু জাবিদুরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি ও মোবাইলে ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো বলেও জানিয়েছেন তারা।
পুলিশের এবিষয়ে সন্দেহ রয়েছে তাই তারা লাশের ময়না তদন্ত(পোস্টমর্টাম)করার জন্য তাদেরকে বলেছেন।
আপাতত ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ এমন একটি রিপোর্ট তৈরী করেছেন।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর থানার রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বরত(এসআই)
আলী হায়দার আলীর মুঠোফোন
(০১৭১৬-০৫২৭১৯)নাম্বারে বিকাল ৪টা ৫০মিনিটে যোগাযোগ করা হলে,রিং হওয়া সত্বেও রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য জানা সম্ভব হয় নাই।
এদিকে গত ২৯জুন(রবিবার)উদ্ধার হওয়া নিহত জাবিদুরের লাশ নিয়ে ৩০জুন(সোমবার)দুপুর ১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার উদ্যেশে রওয়ানা দিয়ে ১লা জুলাই(মঙ্গলবার)
রাত ১২টা ১৫ মিনিটে জাবিদুরের লাশটি তার বাড়িতে আসে।
নিহত জাবিদুরের দাফন কাজ সম্পন্ন সম্পর্কে পরিবারের লোকজন জানান,১২টা ৪৫ মিনিটে মীর মহল্লা(পূর্বগড় মাঠে)জাবিদুরের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং মহল্লাবাসীর কবরস্থানে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে পরিবার সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও পরিবারের দাবি তাদের সবার ছোট্ট ভাই জাবিদুরের মিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত জাবিদুরের পরিবারে মা-বাবা কেউই বেঁচে নেই।
তাদের পরিবারে ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট্ট এবং আদরের ভাই ছিলো জাবিদুর মিয়া(২২)।
সপ্তাহ খানেক গত হয় তাদের ভাই ঢাকায় যায় ব্যবসা করার জন্য।এক সপ্তাহ পর গতকাল ২৯জুন(রবিবার)তাদের ভাইয়ের লাশ উদ্ধারের খবর আসে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার রেলওয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে বানিয়াচং থানা পুলিশের মাধ্যমে।
পরিবারের দাবি তাদের ভাইয়ের মোবাইল ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে ঐ জাবিদুরের হত্যাকারীদের বের করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনসহ গোয়েন্দা সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে তাদের দাবি জাবিদুরের হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার আইনের আওতায় এনে বিচার ব্যবস্হা করার।
আশাকরি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইচ্ছে করলেই নিহত জাবিদুর এর লাশ উদ্ধারের সঠিক ঘটনাটি বের করে দেশ ও জাতির সামনে উন্মোচন করার ব্যবস্হা গ্রহন করিবেন। ঢাকা থেকে কিভাবে দিনাজপুর গেলো জাবিদুর মিয়া।
এমনকি পার্বতীপুর থানা রেলস্টেশন থেকে অন্তত ৬কি:মি:দূরত্বে নির্জন স্হানে কিভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলো!
এসবের সমাধান একমাত্র তার মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে ঐ সবকিছু সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করি আমি।।।
বি.দ্র:-গত ২৯জুন(রবিবার)আমার পাঠানো সংবাদটি ৩০জুন (সোমবার)দিনাজপুর থেকে বানিয়াচংয়ের যুবকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখে-হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে এই সংবাদটি প্রকাশ করার জন্য পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীসহ দায়িত্বরত সকল সহকর্মী সহযোদ্ধা ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পাশাপাশি ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পাশে থাকার জন্য।
আশা রাখছি আপনারা বরাবরের মতোই পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ্।