সংবাদ শিরোনাম
নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত নিকুঞ্জের জান ই আলম স্কুল সমালোচনার ঝড় বাগাতিপাড়ায় কাবিখা প্রকল্পে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন দুমকির মুরাদিয়ায়, মৎস্য বিভাগের ‘মাঠ দিবস’ পালিত।।  যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মা হাসপাতালে রক্ত দেখে হার্ট অ্যাটাক করে ছেলের মৃত্যু দুমকি উপজেলায়, মুরাদিয়া ইউনিয়নে খাসজমির দোকান দখলের অভিযোগ।।  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন : সিইসি শেখ হাসিনার মামলার রায় দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসিল জমি- শঙ্কায় নেত্রকোনার কৃষকরা

admin / ২৭৩ Time View
Update : শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি;

নেত্রকোনা তারিখ শনিবার ০৭/১০/২০২৩ ইং কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জেলার প্রায় ১১ হাজার ৮ শত ৮২ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

গত তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় অধিকাংশ জমির রোপন কৃত আমন ধানের চারা তলিয়ে যায়। আজ শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং দ্রুত পানি নামতে শুরু করায় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, তলিয়ে যাওয়া আমন ধানের চারা পূনরায় পনির উপর ভেসে উঠবে।

বারহাট্টা উপজেলার দশধার গ্রামের কৃষক সুবল সরকার জানান, এ বছর তিনি ৩০ কাঠা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ১৫-১৬ কাঠা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনভাবে আরও কয়েকদিন বৃষ্টি থাকলে আমার পুরা জমির ধানই পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার তাতিয়র গ্রামের কৃষক জব্বার মিয়া জানান, আমি ভাগে জমি চাষ করি। ‘জমির মালিকের কাছ থেকে টাকা ধার করে এনে জমি লাগিয়েছি। আমার কপালই খারাপ। বৃষ্টির পানিতে জমি সব জমিই তলিয়ে গেছে’। মহাজনের টাকাই বা শোধ করবো কি করে? আর নিজের সংসারই বা চালাব কি করে? সবসময়ই এ দুঃশ্চিন্তাই করছি।

বারহাট্টা উপজেলার কৈলাটি গ্রামের মাছ চাষী বজলু মিয়া বলেন, আমার চারটা পুকুরের বেশীরভাগ মাছই পানিতে ভেসে গেছে। চারদিকে জাল দিয় বেড়া দিয়েও কোন উপায় হয় নাই।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে প্রায় ১১ হাজার ৪ শত ৮২ হেক্টর জমির আবাদি আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নেত্রকোনা সদরে ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর, পূর্বধলায় ২ হাজার ৩৬০ হেক্টর, দুর্গাপুরে ৪৫ হেক্টর, কলমাকান্দায় ১৮০ হেক্টর, মোহনগঞ্জে ১ হাজার ২০০ হেক্টর, বারহাট্টায় ২১৫ হেক্টর, আটপাড়ায় ১ হাজার হেক্টর, মদনে ৫০০ হেক্টর, খালিয়াজুরীতে ১২ হেক্টর ও কেন্দুয়ায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।

তিনি কৃষকদের এখনই হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, দ্রুত পানি নেমে গেলে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

নেত্রকোনা জেলা মৎস্য কর্মবর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর জানান, অতিবৃষ্টিতে জেলার ৭০৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার জাহান জানান, শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত উব্দাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে, ধনু নদীর পানি খালিয়াজুড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.৮০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে, সোমেশ্বরী নদী পানি বিজয়পুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫.২২ সেমি ও দুর্গাপুরে ২.৪০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও কংশ নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২.৩৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category