সংবাদ শিরোনাম
নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত নিকুঞ্জের জান ই আলম স্কুল সমালোচনার ঝড় বাগাতিপাড়ায় কাবিখা প্রকল্পে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন দুমকির মুরাদিয়ায়, মৎস্য বিভাগের ‘মাঠ দিবস’ পালিত।।  যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মা হাসপাতালে রক্ত দেখে হার্ট অ্যাটাক করে ছেলের মৃত্যু দুমকি উপজেলায়, মুরাদিয়া ইউনিয়নে খাসজমির দোকান দখলের অভিযোগ।।  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন : সিইসি শেখ হাসিনার মামলার রায় দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য

admin / ৭৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

সম্প্রতি সরকার দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অতি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বিগত সরকারের ধারাবাহিকতায় এ সরকারও ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে পাশ কাটিয়ে শৈশব থেকেই শিক্ষার্থীদেরকে নীতি-নৈতিকতাহীন ও ধর্মবিমুখ করার সুদীর্ঘ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। এটা বিগত এক যুগ ধরে চলে আসা ধর্ম বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থার ধারাবাহিকতা মাত্র।

 

স্বাধীনতার পর থেকে সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আটটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে, যার মধ্যে সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয় ২০১০ সালে। এই শিক্ষানীতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়তা করা। অথচ এই শিক্ষানীতির ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-তে এসে কোন এক অদৃশ্য কারণে ধর্ম শিক্ষা হয়ে যায় সেকেলে এবং অপাংতেয়। প্রস্তাব অনুযায়ী ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান এবং ব্যবসা শাখায় বাতিল এবং মানবিক শাখায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২০-এ ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়টিকে দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা থেকে বাতিল করা হয়। অন্য সকল বিষয়ে বোর্ড পরীক্ষা থাকলেও ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়টি ক্লাস-পরীক্ষা, বোর্ড পরীক্ষা ও সামষ্টিক মূল্যায়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে সময়ের পরিক্রমায় শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি হয়ে যায় গুরুত্বহীন ও অবহেলার পাত্র। তেমনি বর্তমান সরকার কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ আগের সরকারের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সুকৌশলে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করার মতো, প্রাথমিক স্তরে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন করার অংশ বা ধারাবাহিকতা বলে মনে করি আমরা। অথচ প্রাচীনকাল থেকে এদেশে ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা ছিলো শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগনের রক্ষাকবচ।

এদেশে প্রাচীনকাল থেকে সমৃদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন ছিলো, যার মূল ভিত্তি ছিলো ধর্ম। হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করে প্রাচীন কাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের পূর্ব পর্যন্ত চলমান শাসনব্যবস্থা এবং মানুষের রীতিনীতি, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ভাষা, শিক্ষা, সমাজ ব্যবস্থা তথা তাদের যাপিত জীবনের সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিলো ধর্ম।

– আর্য যুগে এবং পরবর্তীতে মৌর্য, গুপ্ত (৩২০-৫৫০) ও সেন (১০৭০-১২৩০) আমলে হিন্দু ধর্মের অন্যতম গ্রন্থ বেদকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যাকে বৈদিক শিক্ষা বলা হয়। বৈদিক চিন্তাধারা ও দার্শনিক মতবাদের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘ব্রাহ্মণ্য’ শিক্ষা নামেও অভিহিত করা হয়। যদিও এ শিক্ষা সার্বজনীন না হয়ে কিছু মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো।

– পাল (৭৫০-১১৬০) আমলে গৌতম বুদ্ধের অহিংসনীতির উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধ শিক্ষার প্রচলন হয় এদেশে। এ সময় শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার দেখা যায়। পাল যুগে প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি বৌদ্ধবিহার ছিল শিক্ষার মুল কেন্দ্র, যেখানে হাজার হাজার শ্রমণ (শিক্ষার্থী) পড়ালেখা করতো। বিহারগুলো আবাসিক হওয়ায় দেশ-বিদেশের অনেক শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করতে আসতো। নালান্দা ও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো পাল বংশের গৌরবের প্রতীক। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি এই আমলে চিকিৎসাবিদ্যা ও জ্যোতিষশাস্ত্রসহ নানা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হতো এখানে।

– ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজীর মাধ্যমে এদেশে মুসলিম শাসনের (১২০৪-১৭৫৭) শুরু। এ আমলে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং মক্তব কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন হয় তখন থেকে। বিশেষ করে সুলতানী আমলে (১৩৩৮-১৫৩৮) সুলতানদের পৃষ্টপোষকতায় ও সুফী-সাধকদের সহায়তায় বাংলার আনাচে কানাচে ব্যাপকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। সুলতানদের সহায়তায় তাবরিজবাদ, সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ), পান্ডুয়া, বাঘা (রাজশাহী) এবং গঙ্গারামপুরে বিখ্যাত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতো। এরই ধারাবাহিকতায় মুঘল আমলে (১৫৭৬-১৭৫৭) নবাবদের পৃষ্পপোষকতায় লাখেরাজ (করবিহীন জমি) সম্পত্তির মাধ্যমে বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। শিক্ষাব্যবস্থা সার্বজনীন হওয়ায় এসময় হিন্দু ও রৌদ্ধ শিক্ষার্থীরাও নিজস্ব পরিমন্ডলে পাঠশালা, টোল ও গুরুগৃহে লেখাপড়া করতো। স্যার এডামসের নেতৃত্বে ১৮৩৫, ১৮৩৬ এবং ১৮৩৮ সালে সম্পাদিত ৩টি রিপোর্টে দেখা যায়, সেসময় বাংলা ও বিহারে সাধারণ ও পারিবারিকসহ প্রায় ১ লক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতি ৪০০ জন মানুষের জন্য ছিল একটি বিদ্যালয়।

আলোচনান্তে বোঝা যায় যে, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার মানুষ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল।

– বণিকরূপে ব্রিটিশরা এদেশে এসে ১৭৫৭ সালে শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৭৯২ সালে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ চার্লস গ্র্যান্ট ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজী শিক্ষা প্রসারে একটা নকশা (প্রস্তাবনা) তৈরি করলেও তা পরে বাস্তবায়ন হয়। ১৭৯৩ সালে প্রণীত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী চার্টার এ্যাক্ট-এ ইংরেজী শিক্ষা ও খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে ব্রিটিশ থেকে স্কুল শিক্ষক পাঠানোর প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়। ১৭৭০ সালে দিকে কলকাতায় ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে কিছু প্রাইভেট স্কুল শুরু হলেও পরে বিভিন্ন খ্রিষ্টান মিশনারীরা তাদের তত্ত্বাবধানে স্কুল পরিচালনা শুরু করেন। ১৭৯৪ সালে উইলিয়াম ক্যারি’র নেতৃত্বে কলকাতায় প্রথম মিশনারী স্কুলের শুরু হলেও পরবর্র্তীতে উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে বিশেষ করে ১৮১৩ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে শ্রীরামপুরসহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মিশনারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে শাসকগোষ্ঠী নিজেদের শাসনকাজ পরিচালনায় একটি তাবেদার গোষ্ঠী সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা এদেশের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সমৃদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে উঠে পড়ে লাগে। এদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও জীবনাচারকে সেকেলে ও পশ্চাতপদ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে উৎকৃষ্ট ও সমৃদ্ধ হিসেবে উপস্থাপন করে বাংলার মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়। যা ১৯৩৫ সালে লর্ড ম্যাকলে-এর প্রণীত শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো, রক্ত ও রঙে হবে ভারতীয়, কিন্তু রুচি, সংস্কৃতি, নৈতিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিতে হবে ইংরেজ। যাইহোক, ১৯০ বছরের শাসনামলে ইংরেজ তাদের উদ্দেশ্য সাধনে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। ফলে হাজার বছর ধরে আমাদের যাপিত-জীবন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি হয়ে যায় মূল্যহীন ও সেকেলে। ধর্মের ভূমিকা যেখানে ছিলো গৌণ।

এদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক বিষয়াদী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বাংলার মানুষ, সমাজ ও শাসনব্যবস্থার সাথে ধর্ম ও নৈতিকতা ঔতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্রিটিশরা আসার আগ পর্যন্ত হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মের সাথে এদেশের মাটি ও মানুষ আঙ্গাআঙ্গিভাবে মিশে ছিল। এখান থেকে যারা মানুষকে আলাদা করতে গেছে, তারাই প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। তাই ঐতিহাসিক বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক ধর্মীয় ও আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়সাধন করে প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানসাধনে এগিয়ে যেতে হবে সমগ্র জাতিকে। সে লক্ষ্যে সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ পুনর্বিবেচনা করা এবং প্রস্তাবিত বিষয়াদী বিবেচনাপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।

ক. পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী ও দুনিয়ামুখী সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থার কারণে মানুষ ভাবলেশহীন ও অনুভূতিহীন যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। অতিমাত্রায় দুনিয়ামুখী এই প্রবণতা থেকে পরিত্রাণ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন সাধনে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বক্ষেত্রে ধর্ম ও নৈতিকতা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। কেননা শিশুকাল থেকে সন্তানদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান অনস্বীকার্য।

খ. হাজার বছর বছর ধরে এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মের মানুষেরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছে। তাই পরস্পরকে জানা, বোঝা এবং তাদের নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে জানতে এই সব ধর্মকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে অন্যান্য প্রধান ধর্মগুলোও সিলেবাসে যুক্ত করতে হবে।

গ. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের মতো ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। এর ফলে বিদ্যমান শিক্ষানীতির অধীনেই শিক্ষার্থীরা ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসার ডিগ্রীধারীদের অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

ঘ. পাঠ্যদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগে কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসার ডিগ্রধিারীদের পাশাপাশি বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্তদের প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা এই বিভাগ থেকে পাশ করা সকল গ্রাজুয়েটদের পৃথিবীর প্রধান ধর্মসমূহের মূলনীতি ও নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি স্থাপনে কীভাবে কাজ করতে হয় সে বিষয়ও শিক্ষা প্রদান করা এবিভাগের শিক্ষার্থীদের।

ঙ. পদ সৃষ্টিতে দেরি হলে আপাতত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত করা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান অধ্যুষিত অঞ্চলে মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডাভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

উল্লেখিত বিষয়াদী পুর্নবিবেচনা করে সরকারকে নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষক পদ সৃষ্টপূর্বক পূনরায় গেজেট প্রদানের জন্য জোর দাবি করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category