মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক ঢাকার এক বাড়িওয়ালা অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: খসরু চৌধুরী এমপি-১৮ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সহস্রাধীক পরিবারের মাঝে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ঈদ উপহার বিতরণ  ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পুষ্পস্থবক বিনম্র শ্রদ্ধা

আমি শত শত নির্যাতিত পরিবারের কর্তার মতো একজন ভুক্তভোগী নির্যাতিত নাগরিক

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

ভুক্তভোগী, শফিকুল ইসলাম 

আমি শত শত নির্যাতিত পরিবারের কর্তার মতো একজন ভুক্তভোগী নির্যাতিত নাগরিক।

যাদের বসতবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে গেছে একটি সন্ত্রাস বাহিনী। যাকে জেলে আটকিয়ে স্ত্রী কে ধর্ষন করে ভিডিও ধারণ করে। যাকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অপহরণ করে চারমাস জিম্মি রাখে। যার ছেলেকে সিভিলে পুলিশ এসে গভীর রাতে অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে।

 

আমার সমস্যা স্যার দুই যুগের। তিন দশক ধরে কুখ্যাত সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের সন্ত্রাস বাহিনী নির্মমভাবে শত শত পরিবার কে প্রকাশ্যে নির্যাতন করছে। কিছু সংখ্যক পরিবার যারা আমার মতো প্রতিবাদ করেছে। তাদের পরিনতির প্রতিবেদন করতে হয়তো আপনাদের প্রশাসনের বুক কেঁপে উঠবে। এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের চিত্র আপনাদের চোখ দেখেননি।

স্যার, সরকার আর প্রশাসনের নিরবতার রহস্যে এই শত শত পরিবার কে মধ্যযুগীয় বর্বরতা কে হার মানানো লোমহর্ষক নির্যাতন করছে__আল্লাহর বিচারের আদালতে কি হিসেব দিতে হবে না_সরকার ও প্রশাসনের??? কিভাবে দায় এড়াবেন সেই আদালতে??? স্যার, এই ডিজিটাল যুগে প্রকাশ্যে_অপহরণ, গুম, খুন, ধর্ষন, গুলি বর্ষন, মাদক বানিজ্য, চাঁদাবাজি, ভাংচুর, লুটপাট, জবরদখল চালাতে পারে একটি সন্ত্রাস বাহিনী? তাও কোন এমপি মন্ত্রী না।

একজন ওয়ার্ড কোষাধ্যক্ষ আওয়ামী লীগের। তবে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি নামক রাজনীতি থেকে আমাদের মুক্তি কি হবে না? পাকিস্তানিদের হাত থেকে তো যুদ্ধ করে মুক্তি পেয়েছিলো পুর্বপুরুষের দামাল দল।

আমরা যুদ্ধ করতে গেলে তো প্রশাসনিক নিরাপত্তায় ক্রস ফায়ারে ধংস হয়ে যাবো। কারন কালো টাকার পাহাড়ের মালিকদের বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের। নাগরিক নিরাপত্তার দায়িত্বহীনতা প্রশাসন অস্বীকার করবে কি করে? অস্র হাতে তুলে নেওয়ার একটা সুযোগ পেলে আত্মঘাতী হয়ে যেতাম। তারপরেও এমন হিংস্র সন্ত্রাসী কে বাংলার মাটি থেকে ধুয়ে ফেলতাম।

কেননা সংবাদমাধ্যমে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরে, দুই ডজন মামলা করার পরেও যে সন্ত্রাস বাহিনী কে একবারও বিচারের আওতায় আনতে পারেনি প্রশাসন। স্যার, ত্রিশ বছরের সাজানো সংসার ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। স্ত্রী সন্তান বলতে গেলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছে। ক্ষমা করবেন যদি কোন কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন।

আর যদি বিবেকবোধ থেকে আমাদের মতো নির্যাতিত মানুষের প্রতি বিন্দুমাত্র আবেগের উৎপত্তি হয়, তবে স্যার আপনার কলিকদের সাথে পরামর্শ করে ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক একটা ব্যবস্থা গ্রহন করুন। একজন সন্ত্রাসীর কাছে আমরা শত শত পরিবার জিম্মি হয়ে পড়েছি।

স্থানীয় প্রশাসনের মতো সারাদেশের প্রশাসন তো আর উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েনি। নিশ্চয়ই প্রশাসন চাইলে একজন সন্ত্রাসী কে ধংস করতে পারে। যত বড় মন্ত্রীর সাপোর্ট থাকুক না কেন সেই সন্ত্রাসীর পিছে। স্যার, একটি জিডি করার ক্ষমতাও হয়নি।

আমার ছেলেও স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র সহ একাধিক সিম ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এই ভূমিদস্যুর কাছে। তাই ঢাকায় এসে একটি অনলাইন পত্রিকায় নিউজটি করলাম।

 

এভাবেই পুলিশ ফোকবুক অ্যাপসের সকল কর্মকর্তা এবং এমপি মন্ত্রীদের মোবাইল নাম্বার অ্যাপসের সকল সাংসদ মহোদয়কে হোয়াটসঅ্যাপে, জিমেইল এ তথ্যপ্রমাণ পাঠিয়ে সহযোগীতা চাইছি আমি শফিকুল ইসলাম।

কুখ্যাত সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোন অভিযোগ করারও উপায় নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার সহ সকল ডিপার্টমেন্ট এর অফিসারদের এরিয়া ওটা না, তাই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় প্রশাসনের নাজুক পরিস্থিতি তদন্ত করে দেখারও কেউ নেই। এককথায় আমাদের মতো নির্যাতিত পরিবারকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসার মতো কোন দপ্তর বা প্রশাসন অথবা অঙ্গসংগঠন এদেশে নাই। যদি থাকতো তবে উক্ত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করতে পারতো না। বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষন করে অন্যের সম্পদ জবরদখল করতে পারতো না। ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অপহরণ করতে পারতো না। শত শত পরিবারের বসতভিটা ভাংচুর ও লুটপাট করতে পারতো না। বানোয়াট দলিলে ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক লোপাট করতে পারতো না। প্রকাশ্যে মাদক বানিজ্য করতে পারতো না। চাঁদাবাজি, ধর্ষন, অপহরণ, গুম, খুন, ভাংচুর, লুটপাট, জবরদখল সহ সকল প্রকার অপকর্ম প্রকাশ্যে করতে পারতো না।

ভুক্তভোগী নির্যাতিত পরিবারের মধ্যে অল্প কিছু পরিবার সাহস করে, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, জাতীয় পত্রিকা সহ অসংখ্য পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে আরো নির্মমভাবে নির্যাতিত হয়েছে। যা দেখে সর্বস্তরের জনগণ বিস্মিত ও স্তব্ধ। দুই ডজনের অধিক মামলা হওয়ার পরেও একবার প্রশাসন বিচারের আওতায় আনতে পারেনি উক্ত সন্ত্রাসীকে। সরকার ও প্রশাসনের নিরবতায় গনতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ।

এযেন আওয়ামী লীগের মাস্তানতন্ত্র। সরকার জনতার সম্মিলিত উদ্যোগেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন হবে_আমার এই শ্লোগানের ভিত্তিতে প্রানপ্রিয় দেশবাসীর কাছে অনুরোধ_মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে নিউজটি পড়ে শেয়ার করুন। শত শত নির্যাতিত পরিবারকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতার হাত বাড়ান।

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com