মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক ঢাকার এক বাড়িওয়ালা অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: খসরু চৌধুরী এমপি-১৮ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির সহস্রাধীক পরিবারের মাঝে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ঈদ উপহার বিতরণ  ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পুষ্পস্থবক বিনম্র শ্রদ্ধা

বাজেটবর্ষ (জুলাই-জুন) ও ক্যালেন্ডারবর্ষ (জানুয়ারী-ডিসেম্বর) চলতি বাজেটবর্ষ ৭/২০২২-৬/২০২৩ ও চলতি

প্রকাশ:নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর 

ক্যালেন্ডারবর্ষ ২০২২
বাংলাদেশে বাজেটবর্ষ এক ক্যালেন্ডারবর্ষে জুলাই ১ এ শুরু হয় এবং পরবর্তী ক্যালেন্ডারবর্ষে জুন ৩০ এ শেষ হয়; বিশ্বব্যাপী ক্যালেন্ডারবর্ষ একইবর্ষে জানুয়ারী ১ এ শুরু এবং ডিসেম্বর ৩১ এ শেষ হয়; এই পার্থক্য সবাইকে জানতে, বুঝতে হবে; কথায় ও লেখায় সে তফাত স্পষ্ট ও ঠিক থাকতে হবে; যেমন, চলতি বাজেটবর্ষ ৭/২০২২-৬/২০২৩, বিগত বাজেটবর্ষ ৭/২০২১-৬/২০২২ ও পরবর্তী বাজেটবর্ষ ৭/২০২৩-৬/২০২৪; চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষ ২০২২, বিগত ক্যালেল্ডারবর্ষ ২০২১ ও পরবর্তী ক্যালেন্ডারবর্ষ ২০২৩। ক্যালেন্ডারবর্ষে ১২ মাস (শুরু থেকে শেষ) এবং বাজেটবর্ষে ১২ মাস (শুরু থেকে শেষ) কথায় ও লেখায় যেন গুলিয়ে না যায়, তা সবসময় সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলাদেশে জাতীয় বাজেট (রাজস্ব ও উন্নয়ন) প্রতি বাজেটবর্ষের (জুলাই-জুন) জন্য প্রণীত, অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হয়ে থাকে; বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ১২ মাসব্যাপী এক ক্যালেল্ডারবর্ষে ১ জুলাই থেকে পরবর্তী ক্যালেন্ডারবর্ষে ৩০ জুন পর্যন্ত সবাইকে চোখ রাখতে হবে; এবং জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই স্ব-স্ব ডিমান্ড/মতামত যথাসম্ভব জনগণকে, অংশীজনকে উচ্চকণ্ঠে তুলে ধরতে হবে। প্রণয়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষে চলতি জাতীয় বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ১ জুলাই ২০২২ এ শুরু হয়েছে, এবং তা ৩০ জুন ২০২৩ এ শেষ হবে। বাংলাদেশে স্থানীয় বাজেটগুলোও স্ব-স্ব স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট দ্বারা প্রণীত হয়ে থাকে, এবং সেগুলো বাজেটবর্ষ জুলাই-জুন এ ১২ মাসব্যাপী বাস্তবায়িত হয়ে থাকে; স্ব-স্ব স্থানীয় ইউনিটে জনগণকে ১২ মাসব্যাপী স্থানীয় বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায়ও চোখ রাখতে হবে; অর্থাৎ একদিকে জাতীয় বাজেট ও অন্যদিকে স্থানীয় বাজেটগুলো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বাজেটবর্ষে ১২ মাসব্যাপী ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত সবাইকে তদারকি করতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।
বাজেটবর্ষ ও বাজেট জনজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; বাজেটীয় প্রভাবে ভাল-মন্দ-স্বাভাবিকে প্রত্যেক মানুষ স্পর্শিত হয়ে থাকে; চলতি বাজেটবর্ষ ৭/২০২২-৬/২০২৩ ও পরবর্তী বাজেটবর্ষগুলো, বিশেষত বাজেটবর্ষ ৭/২০২৩-৬/২০২৪ ও বাজেটবর্ষ ৭/২০২৪-৬/২০২৫, আরো বেশী বেশী গুরুত্ববহ, কারণ ইউক্রেনে রাশিয়া বনাম পশ্চিম/ন্যাটো যুদ্ধ বিশ্বময় এক ভয়াবহ অনিশ্চিত অবস্থা তৈরী করেই চলেছে; তা কোথায় গিয়ে কিভাবে শেষ হবে তা এখনো অজানা, অনিশ্চিত; তাই বৈদেশিক নির্ভরতা যথাসম্ভব এড়িয়ে আপনা বলেই মূলত বলিয়ান থাকতে হবে; চলতি বাজেটবর্ষে বাজেটীয় আয়-ব্যয়ে সমন্বয়করণ/এডজাস্টমেন্ট প্রয়োজনানুযায়ী করতে হবে, তা নিশ্চিত বলে প্রতীয়মান হয়; সেজন্য এখনই/শুরুতেই প্রস্তুতি/কাজ শুরু হয়ে যাওয়া উচিত; শুধু বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন কালে হইচই/আলোচনা/সমালোচনা নয়, বাজেট বাস্তবায়নকালে, ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত অবশ্যই বুদ্ধিবৃত্তিক হইচই/আলোচনা/সমালোচনা/সমন্বয়করণ প্রক্রিয়া দৃশ্যমান থাকতে হবে এবং তা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিকলি সক্রিয়ভাবে চালিয়ে যেতে হবে, অর্থাৎ সারা বাজেটবর্ষে (৭/২০২২-৬/২০২৩) লেগে থাকতে হবে। আমরা বাজেট ও বাজেটবর্ষে কেন এতবেশী গুরুত্ব দিয়ে চলেছি তা সামনে আসতে থাকা দিন, মাস ও বর্ষগুলোতে ধাপে ধাপে পরিচালিত বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে তুলে ধরতে থাকবো। আমরা আশা করছি, গণস্বপ্ন ২০৫০ তথা একটি টেকসই নগরীয় বাংলাদেশ নির্মাণকরণ প্রক্রিয়ায় বাজেট নিয়ে “বাজেটবর্ষ” টার্মটি ক্রমশ খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠতে থাকবে; সেই প্রক্রিয়ায় সবসময় মনে রাখা/থাকা প্রয়োজন, একটি টেকসই নগরীয় বাংলাদেশ নির্মাণকরণ পথরেখায় ১৯৯৭-২০৫০ সময়কালে প্রতিটি বাজেটবর্ষ (জুলাই-জুন) হল এক একটি মাইলফলক/মাইলপোস্ট/মাইলন্টোন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে উপস্থাপিত গণস্বপ্ন ২০২০ ও গণস্বপ্ন ২০৫০ কেন্দ্রিক কিছু কথা/বিষয় বলা উচিত হবে; তা হল, নগরায়ন দ্বারা একটি টেকসই নগরীয় বাংলাদেশ গঠনকরণ (গণস্বপ্ন ২০৫০) ও গণতন্ত্রায়ন দ্বারা উন্নত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণকরণ (গণস্বপ্ন ২০২০) প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়/টার্ম/শব্দ সবাইকে ভালভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে; এগুলো উভয় ক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্যাম্পেইনে/আন্দোলনে খুবই প্রাসঙ্গিক ও জরুরি বিষয়; গুরুত্বপূর্ণ বিষয়/টার্ম/শব্দগুলো হল:
নগরায়ন, কৃষি-অকৃষি উন্নয়ন, গ্রামীণ-নগরীয় দেশ (নগরায়ন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ গ্রামীণ দেশ ও কৃষিজ সমাজ থেকে ১৯৯৭ এ গ্রামীণ-নগরীয় দেশ ও কৃষি-অকৃষি সমাজে উন্নীত হয়-একে জনাব আবু তালেব একটি মধ্যবর্তী পর্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যা একটি নগরীয় দেশ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে; চলমান কৃষি-অকৃষি উন্নয়ন ও নগরায়ন প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে বাংলাদেশ একটি টেকসই নগরীয় দেশ গঠনে এগিয়ে চলেছে, অর্থাৎ গণস্বপ্ন ২০৫০ বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছে), গ্রামীণ-নগরীয় সমাজ, কৃষি-অকৃষি সমাজ, টেকসই নগরীয় দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া (গণস্বপ্ন ২০৫০ পূরণে চলমান কৃষি-অকৃষি উন্নয়ন ও নগরায়ন প্রক্রিয়ায় ২০৫০ নাগাদ গ্রামীণ দেশ থেকে মধ্যবর্তী পর্যায় পারহয়ে একটি টেকসই নগরীয় দেশ এ পরিণত/উন্নীত হওয়াকে জনাব আবু তালেব চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন, এবং এ চূড়ান্ত পর্যায়টি দু’টি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকবে), ১০০% নগরীয় কৃষি ( এখন থেকে বিদ্যমান ৩৬০টি নগরীয় ইউনিট ও ৪,৫৭১টি ইউনিয়নে অবস্থিত ২০,০০০ অকৃষি উন্নয়ন হাবে নগরীয় কৃষি ব্যবস্থা গড়তে প্রতি বাজেটবর্ষে নীতি-কৌশল, টাকা ইত্যাদি সহায়তা দিতে হবে; গ্রামীণ-নগরীয় দেশ ও নগরীয় দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নগরীয প্রশাসনিক ইউনিটগুলো ও অকৃষি উন্নয়ন হাবগুলোতে নগরীয় কৃষি করতে স্থানীয় ও জাতীয় বাজেটে নীতি-কৌশল, টাকা ইত্যাদি সহায়তা দিতে ১৯৯৭ সাল থেকে জনাব আবু তালেব আহবান জানিয়ে আসছেন, তা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে বাস্তব করতে হবে), ১০০% খাদ্য নিরাপত্তা, ১০০% সুষম খাদ্য, ৫০% গ্রামীণ ও ৫০% নগরীয়, ২৫% গ্রামীণ ও ৭৫% নগরীয়, ২০% গ্রামীণ ও ৮০% নগরীয়, ১৫% গ্রামীণ ও ৮৫% নগরীয়, ১০% গ্রামীণ ও ৯০% নগরীয়, ৫% গ্রামীণ ও ৯৫% নগরীয়, অকৃষি উন্নয়ন (কৃষি উন্নয়ন ছাড়া অন্যসব উন্নয়নকে জনাব আবু তালেব “অকৃষি উন্নয়ন” ও উভয় ক্ষেত্রে উন্নয়নকে “কৃষি-অকৃষি উন্নয়ন” নামে অখ্যায়িত করেন) ও নগরায়ন সম্পর্ক, নগরীয় মহল্লা, সিটিশিপ/টাউনশিপ (আবু তালেব সম্প্রতি সিটিশিপ টার্ম/শব্দটি চালু করেছেন), নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট, ১০০% নগরীয় বাসিন্দা (গণস্বপ্ন ২০৫০ অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ১০০% মানুষ নগরবাসী হবেন; সে অনুযায়ী ২০২০ সাল নাগাদ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০% মানুষ নগরবাসী হয়েছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ৭০% মানুষ নগরবাসী হবেন, ২০৪০ সাল নাগাদ প্রায় ৮০% মানুষ নগরবাসী হবেন এবং তা ২০৫০ বর্ষে ১০০% এ উন্নীত হবে), নগরীয় সংস্কৃতি, নগরীয় সভ্যতা, বাংলাদেশে নগরায়ন কেন আশীর্বাদ, কৃষিতে নিয়োজিত বিদ্যমান ৩৯% শ্রমশক্তি/কর্মসংস্থান এখনই কেন ২০% এ নামিয়ে আনতে হবে, অকৃষিতে কেন শ্রমশক্তি/কর্মসংস্থান ৬১% থেকে ৮০% এ উন্নীত করতে হবে, চূড়ান্ত পর্যায়ে কৃষিতে শ্রমশক্তি/কর্মসংস্থান কেন ৫% এ নামিয়ে আনতে হবে এবং অকৃষিতে ধাপে ধাপে কেন শ্রমশক্তি/কর্মসংস্থান ৯৫% এ উন্নীত করতে হবে, নতুন প্রজন্ম ও শিক্ষিত যুব সমাজ কেন অকৃষি কর্ম ও নগরায়ন পছন্দ করছেন, কৃষিতে আরো নতুন (সংখ্যাগত বিবেচনায়) কর্মসৃজন সম্ভাবনা কেন নেই, ১০০% দক্ষ জনশক্তি, ১০০% প্রশিক্ষিত জনশক্তি, ১০০% জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ, ১০০% স্বাস্থ্য বীমা, ১০০% সাশ্রয়ী বাসস্থান, ১০০% অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, ১০০% অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, ১০০% অগ্নি বীমা, ১০০% অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ১০০% গণনিরাপত্তা, ১০০% সামাজিক নিরাপত্তা, ১০০% ডাক যোগাযোগ, ১০০% ফোন যোগাযোগ, ১০০% পরিকল্পিত সড়কপথ-রেলপথ-নৌপথ-আকাশপথ নেটওয়ার্ক, ১০০% স্যানিটেশন, ১০০% পানি ব্যবস্থাপনা, ১০০% জ্বালানী, ১০০% নন-স্টপ বিদ্যুত, ১০০% হাই স্পীড ইন্টারনেট সংযোগ, ১০০% ডিজিটালাইজেশন, ১০০% শিক্ষা, ১০০% আইটি, ১০০% আইসিটি, ১০০% ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ, ১০০% পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত হওয়া (১৯৯৭ সালে পরিবেশে বিশেষ গুরুত্ব দিতে/বোঝাতে জনাব আবু তালেব “পরিবেশবান্ধব” শব্দটি পরিকল্পিত শব্দটিরআগে জুড়ে দেন; আশাব্যঞ্জক বিষয় হল, এখন এই “পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত” শব্দযুগল বেশ ব্যবহৃত হচ্ছে, একে এখন সবক্ষেত্রে বাস্তব করতে হবে), ১০০% পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট, স্থানীয়/মাঠ প্রশাসনিক ইউনিটগুলোকে সঠিকভাবে সজ্জিতকরণ দ্বারা গ্রামীণ-নগরীয় দেশ ও নগরীয় দেশ উপযোগী স্তরীয়করণ/স্তরবিন্যাসকরণ, গ্রামীণ-নগরীয় দেশ ও নগরীয় দেশ উপযোগী প্রস্তাবিত স্তরবিন্যাসকরণ-১ বা ২ কেন এখনই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি (১৩ জানুয়ারী ১৯৯৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সেমিনার-এ প্রস্তাবিত গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখায় স্তরবিন্যাসকরণ-১ ও ২ জনাব আবু তালেক কর্তৃক উপস্থাপিত), ১০০% পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত গ্রামীণ প্রশাসনিক ইউনিট, ১০০% পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত গ্রামীণ-নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট (সর্বোচ্চ স্থানীয়/মাঠ ইউনিট হিসেবে জেলা কিংবা বিভাগ), টেকসই কৃষি-অকৃষি উন্নয়ন, অভিযোজন, অভিযোজন প্রক্রিয়া, অভিযোজিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, শিক্ষায় ও মানসিকতায় গ্রামীণ-নগরীয় দেশ ও নগরীয় দেশ উপযোগী সমাজ ও প্রশাসন নির্মাণকরণ, বিশ্বায়ন, স্থানীয়করণ, ২০৫০ এরমধ্যে ১০০% একুশ শতকীয় দেশ ও সমাজ হওয়া, গণস্বপ্ন ২০২০: একটি উন্নত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনকরণ (স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-২৬ মার্চ ২০২১ এ-উদযাপনকে সামনে রেখে/নিয়ে ১৯৯৭ সালে স্থিরকৃত এই সময়সীমায়-২০২০ এ ৩১ ডিসেম্বরপর্যন্ত-গণস্বপ্ন ২০২০ বাস্তবায়ন করা যায়নি/হয়নি বিধায় পুনরায় সময়সীমা নিয়ে/দিয়ে একটি উন্নত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করতে ২৫টি ক্ষেত্রে ২৫টি গণতন্ত্রায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করতে হবে, তবেই একটি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ গঠিত হবে, উন্নত গণতন্ত্র হবে, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে; শুধু মুখে মুখে আকাংখা প্রকাশে তা হয়নি/হচ্ছেনা/হবেনা-এ কঠিন সত্য সকলকে মানতে হবে, বুঝতে হবে), গণতন্ত্রায়ন, গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা (জনাব আবু তালেব প্রণীত যা ১৩ জানুয়ারী ১৯৯৭ সালে ঢাকয় অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সেমিনারে উপস্থাপিত), গ্রামীণ-নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট, নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট, গ্রামীণ প্রশাসনিক ইউনিট, সর্বোচ্চ মাঠ/স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট (বিভাগ বা জেলা; বিভাগ সর্বোচ্চ ইউনিট হলে জেলা হবে মধ্যবর্তী ইউনিট; জেলা সর্বোচ্চ ইউনিট হলে বিভাগ হবে বিলুপ্ত), মধ্যবর্তী প্রশাসনিক ইউনিট (যেমন উপজেলা), মধ্যবর্তী প্রশাসনিক ইউনিট কেন বেশকিছুটা অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, পাশাপাশি অবস্থিত সর্বনি¤œ প্রশাসনিক ইউনিটদ্বয় (গ্রামীণ এলাকায় ইউনিয়ন ও নগরীয় এলাকায় নগর/পৌর), নগর সরকার, নগর প্রশাসন, নগর সংসদ, নগর আদালত, নগর ন্যায়পাল, নগর নির্বাচনী বোর্ড, ইউনিয়ন সরকার, ইউনিয়ন সংসদ, ইউনিয়ন প্রশাসন, ইউনিয়ন আদালত, ইউনিয়ন ন্যায়পাল, ইউনিয়ন নির্বাচনী বোর্ড, গণতান্ত্রিক আইনসভার রূপরেখা, ২৫টি ক্ষেত্রে ২৫টি গণতন্ত্রায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ, উন্নত গণতন্ত্র, নগরীয় দেশ উপযোগী দ্বি-স্তরীয় স্থানীয়/মাঠ প্রশাসনে উন্নীতকরণ প্রক্রিয়া, প্রস্তাবিত স্তরবিন্যাসকরণ-১ ও প্রস্তাবিত স্তরবিন্যাসকরণ-২ জানা-বুঝা (উভয়টি ১৩ জানুয়ারী ১৯৯৭ এ উপস্থাপিত), কম পরিচালন ব্যয় ও বেশী উন্নয়ন ব্যয় (তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে পরিচালন ব্যয় খুব বেশী; এটি অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে), ছোট্ট ও দক্ষ সরকার, গণস্বপ্ন ২০৫০: একটি টেকসই নগরীয় বাংলাদেশ নির্মাণকরণ (১৯৯৭ এ উপস্থাপিত গণস্বপ্ন ২০৫০ দ্রæত নগরায়ন দ্বারা দৃশ্যমান বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে; তাতে গোটাদেশ গ্রামীণ থেকে ১০০% নগরীয় হয়ে ওঠবে; ২০২০ এ অর্ধেক লোক অর্থাৎ ৫০% মানুষ নগরবাসী হয়ে যাবেন ও ২০৫০ এ ১০০% লোক নগরবাসী হবেন-এসব কথা ১৯৯৭ এ ও তৎপরবর্তীতে বিশ্বাস করানো কঠিনতম কাজ ছিলো বইকি; তা নিয়ে তখন অনেকেই হাসাহাসি করতেন; অবাস্তব কল্পনা বলে উপহাসও করতেন; সে যাই হোক, এ নগরায়ন প্রক্রিয়ায়/পথরেখায় ১৯৯৭ থেকে ২০২০ শেষ হয়েছে, এ সময়ে ক্রমাগত দৃশ্যমান নগরায়ন ও অকৃষি উন্নয়ন মানুষকে ও নীতিপ্রণেতাদেরকে গণস্বপ্ন ২০৫০ এরপ্রতি আস্থাবান করেছে বলে প্রতীয়মান হয়; সেই পথচলায় বাকি সময়কালে অর্থাৎ ২০২১-২০৫০ সময়ে মধ্যবর্তী দশকদ্বয় হল ২০২১-২০৩০ ও ২০৩১-২০৪০; এবং শেষ দশকটি হল ২০৪১-২০৫০; এই পথরেখায় তিন দশকে বিভিন্ন ভিশন/মিশন/গোল/অবজেকটিভ পূরণে মধ্যবর্তী মাইলস্টোনগুলো হল ২০২৫, ২০৩০, ২০৩৫, ২০৪০, ২০৪৫ ও শেষ মাইলস্টোনটি হল ২০৫০; সব উন্নয়ন অর্থাৎ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি উন্নয়ন এই গণস্বপ্ন ২০৫০ কেন্দ্রিক হয়ে থাববে, হতে বাধ্য; কেহ বিশ্বাস/পছন্দ করুক বা না করুক), বিশ্ব প্রেক্ষিত বিবেচনায় নারীর ক্ষমতায়নে মিলেনিয়াম প্রোপোজাল পার্ট ওয়ান (এমপো) ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিবেচনায় ১১ দফা, একশো একশো প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি, একশো একশো ক্যাম্পেইন, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতি সংরক্ষণে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক ক্যাম্পেইন/আন্দোলন, স্থানীয় বাজেটগুলো (স্থানীয় সরকারগুলো দ্বারা অর্থাৎ স্ব-স্ব স্থানীয় ইউনিট দ্বারা প্রণীত ও বাস্তবায়িত বাজেট), জাতীয় বাজেট (কেন্দ্রীয়/জাতীয় সরকার দ্বারা প্রণীত ও বাস্তবায়িত বাজেট), এডিপি (প্রতি বাজেটবর্ষে বাস্তবায়িত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি), সংশোধিত জাতীয় বাজেট (প্রতি বাজেটবর্ষে শেষ মাস জুনে উপস্থাপিত ও জাতীয় সংসদে অনুমোদিত), বার্ষিক পরিকল্পনা, দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা, ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, পরিপ্রেক্ষিত/প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, প্রায় ২০,০০০ অকৃষি উন্নয়ন হাব (গ্রামীণ/পল্লী এলাকায় অবস্থিত ৪,৫৭১টি ইউনিয়নে স্থানীয় প্রয়োজনে স্থানীয় উদ্যোগে সৃষ্ট হাট-বাজারগুলোকে জনাব আবু তালেব “অকৃষি উন্নয়ন হাব” ও ছোট ছোট “ইকোনোমিক জোন” বলে আখ্যায়িত করেন যাতে অল্পসময়ে দ্রæততায় কর্মসৃজন, কর্মসংস্থান, বহুমুখী অকৃষি উন্নয়ন ও নগরীয় কৃষি উন্নয়ন করা সম্ভব, বিপরীতে বড় বড় ইকোনোমিক জোনগুলো নির্মাণ ও ওপারেশনযোগ্য করা বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয় যেমন ১০০টি নির্মাণাধীন ইকোনমিক জোন যা ২০৩০ নাগাদ সম্পন্ন হবে, তবে এ দু’টো প্রক্রিয়া একইসঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলমান রাখা উচিত হবে বলে জনাব আবু তালেব মনে করেন), ৭/২০২০-৬/২০২৫ সময়ে বাজেটবর্ষগুলোতে ৩৬০টি নতুন নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট (পৌর/নগর) গঠনকরণ, ৭/২০২৫-৬/২০৩০ সময়ে বাজেটবর্ষগুলোতে ২৮০টি নতুন নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিট (পৌর/নগর) গঠনকরণ, ৬/২০৩০ এরমধ্যে নগরীয় প্রশাসনিক ইউনিটেরমোট সংখ্যা ১০০০ এ উন্নীতকরণ, ইউনিয়নেরসংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে আনা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, দেশিক ও বৈদেশিক মিলে ১০০% কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, ১০০% কর্মসংস্থান করতে না পারলে বেকারত্ব ভাতা প্রদান, ২০৩০ নাগাদ বিদেশে কর্মসংস্থান ৩ কোটিতে (৩০ মিলিয়নে) উন্নীতকরণ (২০২০ সাল নাগাদ বিদেশে কর্মসংস্থান ২ কোটিতে উন্নীতকরণ কেন হয়নি সে ব্যাখ্যা খুব দ্রæততায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেয়া উচিত হবে; জনাব আবু তালেব ২০০৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এনআরবি সম্মেলনে ‘গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা’ শীর্ষক সেমিনার-এ ২০২০ সাল নাগাদ বিদেশে কর্মসংস্থান ২ কোটিতে উন্নীতকরণ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে আহবান জানান; তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হবে বলে জনাব আবু তালেবকে আশ্বস্ত করেছিলেন), গড়ে মাথাপিছু আয় ও প্রকৃত মাথাপিছু আয়, জিডিপিতে কৃষি ও অকৃষি খাতদ্বয় দ্বারা দেয় তুলনামূলক অবদান (জনাব আবু তালেব ঘোষিত ফোরকাস্ট অনুযায়ী এক পর্যায়ে জিডিপিতে কৃষিখাত দ্বারা অবদান হবে ৫%, এবং অকৃষিখাত দ্বারা অবদান হবে ৯৫%; বর্তমানে কৃষিখাত ১২% ও অকৃষিখাত ৮৮% অবদান জিডিপিতে দিয়ে থাকে; জিডিপিতে অকৃষিখাত দ্বারা অবদান ৯৫% এবং কৃষিখাত দ্বারা অবদান ৫% হলেও কৃষিরপ্রতি বিশেষ গুরুত্ব কখনও কমবে না), জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ১০০% সঠিক পরিসংখ্যান-উপাত্ত-তথ্য কেন খুবই প্রয়োজন, এখন গ্রামীণ মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি কেন প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছেনা, এখন গ্রামীণ-নগরীয় ও নগরীয় মানসিকতা ও দৃষ্টিভংগি কেন খুবই প্রয়োজন, গ্রামীণ/পল্লী মানসিকতা/দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গ্রামীণ-নগরীয় দেশ ও নগরীয় দেশ পরিচালন করা কেন সম্ভব নয়, কেন সম্ভব হচ্ছে না ইত্যাদি বিষয়গুলো সব মানুষকে ভালভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং ১০০% অভিযোজন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, এই চলমান বুদ্ধিবৃত্তিক নন-স্টপ ক্যাম্পেইন/আন্দোলন জনাব আবু তালেবের আইডিয়ায় ১৩ জানুয়ারী ১৯৯৭ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে; ইতোমধ্যে এই বুদ্ধিবৃত্তিক ক্যাস্পেইন/আন্দোলন ২৫ বর্ষ পূর্ণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এই ক্যাম্পেইন/আন্দোলন ভালভাবে জেনে, শুনে ও বুঝে আসছেন; এখন তিনি, আমরা আশাকরি, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে এই ক্যাম্পেইন/আন্দোলন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন।
সেসঙ্গে, আমরা আশা করছি, আগামী দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও জোট কর্তৃক প্রণীতব্য নির্বাচনিক ইশতেহার/মেনিফেস্টো গণস্বপ্ন ২০৫০ তথা একটি টেকসই নগরীয় দেশ গঠনকরণ ভিত্তিক হবে। আমরা আরও আশা করছি, প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও জোট দ্বারা প্রণীতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদীয় নির্বাচনিক ইশতেহার/মেনিফেস্টো গণস্বপ্ন ২০২০ তথা একটি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ গঠনকরণ ভিত্তিক হবে (নতুন সময়সীমাসহ) ।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com