বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে পুষ্পস্থবক বিনম্র শ্রদ্ধা প্রতারক হুমায়ুন কবির ও তার পরিবার মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরগাঁও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীর বরিশাল ইউপি চেয়ারম্যানকে পদ হতে সাময়িক অব্যহতি প্রদান  বসন্ত বাতাসে সই গো বন্ধুর বাড়ির ‘জ্বরের ভাইরাস’ আমার বাড়ি আসে….. নাঃগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বঙ্গবন্দ্ধুর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত সংবাদ সংগ্রহ করেতে গেলে সন্ত্রাসী আরিফ ইকবালের বাঁধা “ রাজধানী,উত্তরায় সাদিয়া সুলতানা তিথি এর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে রাস্তা শিক্ষার্থীদের অবরোধ বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট এসবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

মাদারীপুর চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার সরিষা ফুলের মৌ-মৌ সুঘ্রাণ

 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

আদিবা শিকদার সাবা :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা অনুযায়ী কৃষকের মিললো বেপক সফলতা

মাদারীপুর চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার সরিষা ফুলের মৌ-মৌ সুঘ্রাণ। নড়াইলে সরিষার ফুলে ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

সরিষা ফুলে ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। কখনও কখনও সরিষার খেতে বসছে পোকাখাদক বুলবুলি, ফিঙে আর শালিকের ঝাঁক। কিছুটা প্রতিকূল আবহাওয়া সত্বেও সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা এবার ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর প্রায় নয় হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে নয় হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে।

কম সময় ও স্বল্প খরচের বিপরীতে লাভ বেশি হওয়ায় পতিত জমিতে সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকেছেন নড়াইলের কৃষকরা। এতে কৃষকদের লাভের পাশাপাশি দেশে ভোজ্যতেলের ঘাটতি মিটবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

মাদারীপুর থেকে  কৃষি অফিস থেকে জানতে পাড়ি , সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুর প্রত্যক   অঞ্চলে চলছে সরিষা চাষের বিপ্লব । জেলার সর্বত্র মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো থোকা থোকা হলুদ ফুলের সমারোহ। মাঠগুলো যেন হলুদ চাদরে মোড়া। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ। পৌষের বিন্দু বিন্দু শিশির ভেজা মাঠভরা সরিষা ফুলের মৌ-মৌ সুঘ্রাণ ও সৌরভ চারদিকে। সবুজ গাছের হলুদ ফুল শিশির ভেজা শীতের সোনাঝরা রোদে ঝিকমিক করছে। যেন প্রকৃতি সেজেছে হলুদবরণ সাজে। হলুদ রঙের আভার সাথে বাতাসে ভাসছে মৌ মৌ গন্ধ। সরিষা ফুলে মৌমাছিরা গুন গুনিয়ে মধু আহরণ করছে।

মাদারীপুর যেকোনো এলাকায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সোনাঝরা ফুলের সীমাহীন মাঠ। আঁকাবাঁকা মেঠো পথ কিংবা ছোট-বড় সড়কের দুপাশে দিগন্ত হারানো হলুদের সমারোহ। হলুদে হলুদে সজ্জিত সরিষার প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। এমন চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করছেন, ছবি তুলছেন,ভিডিও ধারণ করে আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এছাড়া সরিষা খেতে মধু চাষ করে বাড়তি আয়ও করছেন কৃষক। ফলে সরিষার ব্যাপক ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে দিচ্ছে সম্ভাবনার অমীয় হাতছানি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মাদারীপুর জেলার ৪টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে দেশী জাতের মাঘী, ধলী উন্নত জাতের বারি-১৪, বারি-১৫ জাতের সরিষার আবাদ করা হয়েছে। গতবছর এই আবাদের পরিমান ছিলো ১০হাজার হেক্টর। সে হিসেবে মাদারীপুরে আবাদ বেড়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএমএ গফুর বলেন, সরিষা চাষে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধকরণ করে থাকে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশাকরি জেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

 

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১৪ ও বারি-১৫ এবং স্থানীয় জাতের সরিষা জেলায় বেশি আবাদ হয়ে থাকে। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ব্যয় হয় ৫-৬ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ১২-১৫ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা খেতে ‘জাত’ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সরিষা খেতে মৌমাছি ও প্রজাপতির আনাগোনা বেশি হলে সহজে পরাগায়ণ হয়। এতে ফলন অনেকাংশে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ মণ সরিষা পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের মাধ্যমে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

মাদারীপুর সদরের আসে পাসে  সরিষা চাষী আনজুম ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও শরিফুল আলম জানান,‘সাধারণত প্রতিবছর আমন ও ইরি এই দুই ফসলই আমরা কৃষকরা আবাদ করতাম। বাকি বেশিরভাগ সময় জমি পতিত পড়ে থাকত। এবার সেই পতিত জমিতে আমরা কৃষকরা সরিষার আবাদ করেছি। জমিতে সরিষা রোপণ করা থেকে শুরু করে পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে দেড় থেকে দুই মাস। এছাড়া সরিষা চাষে রোপণ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বাড়তি তেমন কোনও খরচ নেই। শুধুমাত্র জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে বাড়তি কোনও সেচ দিতে হয় না, যার ফলে সরিষা চাষে আমরা কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছি। এবছর সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা যায়।

 

জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। ভোজ্যতেলের আমদানি কমানোর লক্ষে পরিকল্পিতভাবেই দেশে সরিষার আবাদ বাড়ানো হচ্ছে তেলের ক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অংশ হিসেবেই সরিষার চাষ বাড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরিষা চাষ করে মানুষ শুধু তেল-ই তৈরি করে না। এই সরিষা ভাঙ্গিয়ে খৈল ও গাছ থেকে ভূষি তৈরি হয় যা গরুর ভালো খাদ্য এবং ভালো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তার মতে, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। কৃষকের শ্বাক্ষাতে

আদিবা শিকদার সাবা

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com