শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে মটরযানর‌্যালী কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের আজ স্বর্গীয় সতিন্দ্র লাল দাশ গুপ্তের ৯তম মৃত্যু বার্ষিকী সরিষাবাড়ীতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সাংবাদিক হয়রানি মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন  জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক

ঝিনাইদহে রেমিটেন্স যোদ্ধার আর্তনাদ।

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

📝মহেশপুর প্রতিনিধি,ঝিনাইদহ – খালিদ হাসান

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আজমপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ হোসেন। খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান সোহাগ গত ৬ বছর আগে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মালয়েশিয়াতে। সংসারের ঋনগুলো পরিশোধ করে, একটু সুখের মুখ দেখার পালা তখনই হঠাৎ করে এক ঝড় এসে তার হাজারো স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়।

সোহাগ হোসেন তার দুর্ঘটনার কারণ বর্ণনা কালে জানা যায় যে, মালয়েশিয়াতে কাজ করার সময় রেস্ট্র টাইমে শখ করে নারিকেল গাছে উঠেছিলেন নারিকেল খাওয়ার জন্য হঠাৎ করে হাত পোস্টে ৩০ থেকে ৪০ফুট উচ্চতার নারিকেল গাছ থেকে পড়ে যায় সোহাগ। তাৎক্ষণিক তার সহপাঠীরা তাকে একটি স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করায় ডাক্তার যে, তার কোমর সহ দুইটি পা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে।

এই খবর তার পরিবার জানার পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। দেশে ফিরিয়ে আনার পর এলাকার মানুষের সামান্য সহযোগিতায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়। হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার বলেছিলন বড় ধরনের অপারেশনের মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব । কিন্তু টাকার অভাবে তার পরিবার তাকে চিকিৎসা করাতে পারেনি। কিছুদিন আগে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার জানাই যে,এখনো থেরাপির মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এই চিকিৎসা নিতে তার ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পরে বলে ডাক্তার জানায়। কিন্তু তার দরিদ্র পরিবার কোথায় পাবে এত টাকা!

যে যোদ্ধা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য এক সময় করেছে যুদ্ধ। সেই মানুষটির আজ সাহায্যের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোহাগ হোসেন অশ্রুঝরা কন্ঠে তার অসহায়ত্ব জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান বা এমপির কাছ থেকে ১ টি টাকার সহযোগিতা সে পায়নি। গত দুই বছর যাবত বিছানাকাতর অবস্থায় রয়েছে। সোহাগ হোসেন বলেন তার একটু হুইলচেয়ার হলে, সে একটু চলাফেরা করতে পারতেন।

সোহাগ হোসেনের স্ত্রী সহ ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সোহাগ হোসেন এর পিতা-মাতার ঢাকাতে বাসা বাড়িতে কাজ করে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পাঠায়, এ দিয়ে তার সংসার চলে।

সোহাগ হোসেনের স্ত্রী রিপা আক্তার জানাই যে,তার অসুস্থ স্বামীর পিছনে ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন।তার বাড়ির সামনে কিছু কিছু আবাদি জমি ছিল সেটাও তিনি বিক্রি করে তার স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছেন। এখনো তাদের ৫ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, টাকার অভাবে তার স্বামীর ওষুধ কিনতে পারছেন না।

সোহাগ হোসেন এর প্রতিবেশী, হাবিবুর রহমান বলেন। গত দুই বছর যাবত খুবই অসহায় মাঝে বসবাস করছে পরিবারটি ।
হাবিবুর রহমান আরো জানায় যে, যদি সরকার রেমিটেন্স যোদ্ধা কথা চিন্তা করে তার চিকিৎসার জন্য কিছু সহযোগিতা করত, তাহলে মানুষটি সুস্থ হয়ে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারত।

যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে সহযোগীতা করতে চান তাহলে নিম্ন প্রদত্ত নম্বরে যোগাযোগ করুন।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com