শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে মটরযানর‌্যালী কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের আজ স্বর্গীয় সতিন্দ্র লাল দাশ গুপ্তের ৯তম মৃত্যু বার্ষিকী সরিষাবাড়ীতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সাংবাদিক হয়রানি মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন  জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক

নড়াইলে হুমকির মুখে চিংড়ি চাষ

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

 

 

  • নড়াইলে চিংড়ি চাষ এখন হুমকির মুখে। চিংড়ি চাষে হতাশ নড়াইলের চাষিরা চিংড়ি চাষে রীতিমতো হতাশ নড়াইল জেলার চাষিরা। খাবারের দাম বৃদ্ধি এবং চিংড়ির বাজারদাম কমে যাওয়ায় নড়াইলে চিংড়ি চাষ এখন হুমকির মুখে। চিংড়ি চাষিরা জানিয়েছে এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই নব্বই শতাংশ চাষিই বন্ধ করে দিবেন চিংড়ি চাষ। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, জেলা মৎস্য অফিস জানায়, জেলার তিনটি উপজেলাতে মোট পাঁচ হাজার তিন শতাধিকের বেশি চিংড়ির ঘের রয়েছে৷ এসব ঘেরে মূলত গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। সাদা মাছের সাথেও চাষ হয় চিংড়ি। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।

জেলার চিংড়ি চাষিরা জানান, করোনার পর থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে যে খাবার কিনেছেন ১ হাজার টাকায়৷ সেই খাবার এখন কিনতে হচ্ছে প্রায় ১৫শ টাকায়। বাকি নিলে প্রতি বস্তায় আরও এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি দিতে হয়। অন্যদিকে আগে যে চিংড়ি বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকায় সেই চিংড়ি এখন বিক্রি করছি ৬শ টাকায়। ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রত্যেকর ঋণের বোঝা বাড়ছে৷ অধিকাংশ চাষি চিংড়ি চাষ বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছেন।

এছাড়াও চিংড়ির উৎপাদন বেশি হলে তখন পাইকারি ক্রেতারা এক হয়ে দাম কমিয়ে দেয়। এ অবস্থায় খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে নড়াইলে চিংড়ি চাষ করে ভালো কিছু করতে পারবেন চাষিরা।

তবে চিংড়ি কিনতে আসা পাইকাররা বলছেন লোকসানে রয়েছেন তারা। যেসব কোম্পানিতে চিংড়ি দেন সেখানে ভালো দাম পাচ্ছেন না। তাদের চাহিদাও আগের মতো নেই। চাহিদা না থাকায় দাম কম হচ্ছে বলেন জানান তারা।

নড়াইলের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ.এম. বদরুজ্জামান বলেন, এ জেলার পানি মিঠা হওয়ায় গলদা চিংড়ি বেশি চাষ হয় যা খুবই সুস্বাদু। এক্সপোর্ট চ্যানেল বাদেও দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যায় এই চিংড়ি। চিংড়ির দাম রফতানির সাথে জড়িত থাকার ফলে চাহিদা বেশি হলে দামও বেশি হয়। চাহিদা কম হলে আবার দাম কমে যায়। চিংড়ির প্যাকেটজাত খাবারের অধিকাংশ বাইরে থেকে আসে। বৈশ্বিক কারণে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। ফলে চাষিদের খরচও বেড়েছে। তবে আমরা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি বাড়িতে তৈরি খাবার চিংড়িকে খাওয়ানোর জন্য। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com