রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
রাজধানীর, বুধবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় কাওলার এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি’র তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া নতুন করে আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের উন্নয়ন বন্ধ করার জন্য ফন্দি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. হাবিব হাসান।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. ইসহাক মিয়া ইসহাক।
সাংসদ হাবিব হাসান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের একের পর এক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। আপনার বাড়ির পাশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেট্রোরেল, পাতাল রেল ও দুটি উড়ালসেতু উদ্বোধন করেছেন। যার কারণে আজকে বিমানবন্দর, টঙ্গীতে যানজট নাই। এগুলো প্রধানমন্ত্রী করেছেন বাংলার মানুষ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য। শেখ হাসিনা ইউরোপের থেকেও বাংলাদেশে বেশি উন্নয়ন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আর এদেশে একটা জঞ্জাল দল আছে। যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছিল। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। যে দলের জন্ম হয়েছে আগাছক থেকে। যে দলের জন্মদাতা জিয়াউর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল।’
হাবিব হাসান বলেন, ‘আমরা জানি আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগ যদি রাজপথে থাকে তাহলে এই কুলাঙ্গার দল বাংলাদেশ থেকে নিপাত হয়ে যাবে। যারা বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করছিল তাদের ভাবা উচিত, এটা ১৯৭৫ সাল না। এই ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা সারা বাংলাদেশের সোচ্চার। প্রধানমন্ত্রীকে নতুন করে আক্রমণের চেষ্টা করে, হুমকি প্রদান করে তাহলে তাদের বাংলার মাটি থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করা হবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে, সমাজের অবহেলিত ব্যক্তি, যারা এক ভাই আওয়ামী লীগ করেন এক ভাই বিএনপি করেন, আরেক ভাই জামায়াত করেন, তারা কেউ ক্যানডিডেট হবেন না। হলেও নেতা হতে পারবেন না। যদি কেউ মাদক ব্যবসা করেন, যারা মাদক সেবন করেন তারাও নেতা হতে পারবেন না। অবাঞ্চিত কাউকে কোথাও নেতা করিও নাই, করবোও না।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ‘আজকের এই সমাগম হঠাৎ করে হয়নি। এই ১১ টি ওয়ার্ডের ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতা এসেছিলেন। তারা মহানগরের সাথে সদস্য সংগ্রহ করেছিলেন, মিটিংয়ের পর মিটিং করেছেন। তাদের উদ্যোগে আজ এ ব্যাপক সাড়া পড়েছে।’
দলটির মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম বলেন, ‘আমি এমন নেতা চাই না, সারা রাতে শ্লোগান দিবেন, কিন্তু সকালে রাজপথে থাকবেন না। যারা প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেন, যারা দলের প্রতিটি কর্মসূচিতেই অংশগ্রহণ করেন তাদেরকেই চাই।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ শবনম জাহান শীলা, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোবাশ্বের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদপুর রহমান খান ইমরান। মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।