সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
আজ স্বর্গীয় সতিন্দ্র লাল দাশ গুপ্তের ৯তম মৃত্যু বার্ষিকী সরিষাবাড়ীতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সাংবাদিক হয়রানি মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন  জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন উড়িষ্যা থেকে কলকাতা ফেরার পথে ,ব্রীজ থেকে উল্টে পড়লো যাত্রীবাহী বাস যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উত্তরা সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আন্তরিক ধন্যবাদ” নাটোর বড়াইগ্রামে ভুয়া এএসআই আটক ঢাকার এক বাড়িওয়ালা অনন্য নজির স্থাপন করলেন

পানির অভাবে পাট জাঁক দিতে পারছেন না ? ঠাকুরগাঁও এর কৃষক

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

মোঃ আবুল হাসান ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বত্রই এখন পাট কাটতে ব্যস্ত কৃষক। কিন্তু পানির অবাবে কৃষক পাট জাগ দিতে পারছেন না। বর্ষার এ সময় ছোট ছোট খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালায় পানি থাকে ভরপুর। কিন্তু এ বছর পানি খুবই কম। খাল বিলে পানি নেই বললেও চলে। এত পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাট চাষিরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর, রহিমানপুর, আউলিয়াপুর, আখানগর, গড়েয়া, রুহিয়া, চিলারংসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ পাট চাষি প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ঠিকমত পাট জাগ দিতে পারছেন না। আবার অনেকে ছোট খাটো খালবিল ও পুকুরে পানি ঢুকিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করলেও পানি ২-১ দিনের বেশি থাকছে না, শুকিয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য এলাকায়। এতে অনেক পাট নষ্ট হওয়ারও উপক্রম হয়েছে।

সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আরাজী ঝাড়গাঁও গ্রামের আজাদ জানান, তিনি এক একর জমিতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পাট চাষ করেছেন। পাট জমি থেকে কেটে রাস্তার ধারে স্তুপ করে রেখেছেন। তবে পানি না থাকায় তিনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তিনি জানান, প্রতি বছর এ সময়টাতে খালবিলে পানি থাকে। কিন্তু এবার বৃষ্টি নেই, খালে পানি নেই।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ী মুন্সিপাড়া গ্রামের কৃষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, গম কাটার সেই জমিতে পাটের আবাদ করেছি। কাঁচা পাট প্রক্রিয়ার জন্য প্রধান উৎস হচ্ছে পানি। সাধারণত খালের পানিতে অথবা পুকুরের পানিতে পাট ডুবিয়ে রাখতে হয় ১২-১৫ দিন বা তার থেকে কয়েকদিন বেশি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির পানি প্রয়োজনমত না হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছি।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ৭২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬১ হাজার ১৫ মেট্রিক টন। গত বছরে আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমি। আর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ২৯২ হেক্টর । উৎপাদন হয় ৫৯ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, পাট চাষের জন্য ঠাকুরগাঁও একটি আদর্শ জেলা। জেলায় পাটের আবাদ বেড়েছে। উৎপাদনও ভাল হয়েছে। তবে কিছু উচু এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় পাট চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। আশা করি বৃষ্টি হলে চাষিদের পাট পঁচানোর কাজটি সহজ হবে। এছাড়াও কৃষকেরা তাদের বাড়ির আশপাশের ছোট ডোবা, খাল-বিলে বৃষ্টি বা অন্যান্য উপায়ে পানি সংরক্ষণ করে পাট জাগ দিলে উপকৃত হবে। এবছর কৃষক পাটের ভাল দাম পাবেন বলেও আশা করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com