রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজধানীর উত্তরা বিআরটিএ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্ময়ে সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রনের এখন ওপেন সিক্রেট। প্রায় প্রত্যেক কর্মকর্তাদের জন্য নিজস্ব সিন্ডিকেট পরিচালনায় তথা ঘুষ আদায়কারী হিসাবে নির্দিষ্ট লোক নিজেরাই সেট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চলে এ যেন দেখার কেউ নেই। আর এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দালাল চক্র। প্রতি লাইসেন্স বাবদ ৩০০০ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। প্রতিটা সেক্টরে ধাপে ধাপ এভাবে টাকা নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালায়। ঘুষ ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যায় না উত্তরা বিআরটিএ।
প্রায় ৩০০ জনের মত দালাল কাজ করছে উত্তরা বিআরটিএ আর এসব দালালের মাধ্যমেই ঘোষের টাকা উপর লেভেলের কর্মকর্তার কাছে চলে যায়। ঘুষ খেয়ে মুখ বন্ধ হয়ে যায় অটো পাস এ যেন এক গণেশের কেরামতি খেলা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কথা উঠলেই যানবাহন-সংশ্লিষ্ট সবার চোখের সামনে এক ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র ভেসে ওঠে। ভোগান্তির অপর নাম যেন বিআরটিএ।
পরিচালক ইঞ্জিঃ মোঃ মোরছালিন এবং উপ-পরিচালক লিটন বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিচালিত সিন্ডিকেট প্রধান সমন্ময়ক মিজান এখন টপ সিক্রেট মূল হোতা। তাকে ছাড়া যেন উত্তরা বিআরটিএ অচল। আইটি অফিস কক্ষ চাবি আর কম্পিউটার একসেস থাকে তার কাছে। অথচ আবার জানা যান মিজান অফিসের কোন সরকারী চাকুরী করেনা বরং মাষ্টার রোলের বিষয়টি সামনে এনে বহাল তবিয়তে সকল কাজ এবং ঘুষ লেনদেন করছে। একপ্রশ্নের উত্তরে নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিঃ মোঃ মোরছালিন বলেন মিজান আমার অফিসের কোন লোক না। আগে মাষ্টার রোলে সে এ অফিসে কাজ করত এখন আর সেই পদ নেই।
বিআরটিএ কার্যালয়ে লাইসেন্সের কাজ করতে গেলে পড়তে হয় ঘুষবাণিজ্যের মধ্যে। এর মধ্যে ছয় থেকে আট ধরনের কাজে ঘুষবাণিজ্য ব্যাপক। বিশেষ করে নাম্বার প্লেট, ফিটনেস, লার্নার, মালিকানা পরিবর্তন, রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে ঘুষবাণিজ্য ওপেন সিক্রেট। উত্তরা দিয়াবাড়ি বিআরটিএ অফিসের মূল ভবন থেকে শুরু করে আশপাশের চায়ের স্টল, ফটোকপির দোকান, এমনকি ফাঁকা মাঠ— সর্বত্র দালালের ছড়াছড়ি। ফলে সেবা নিতে আসা জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে।
দিনভর অফিস চত্বরে অবস্থান করে দালালচক্রের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্যদের নাম। এই চক্রের মূলহোতা মিজানের আন্ডারে রয়েছে আরও কয়েকশ দালাল। দালালের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রেটে ঘুষ আদায় করা হয়।
যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজে দুই থেকে চার হাজার, মালিকানা পরিবর্তনে তিন হাজার, ফিটনেস সংক্রান্ত কাজে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ঘুষ কাউকে না কাউকে দিতেই হয়। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাস করতে হলে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ দেয়া অনেকটা বাধ্যতামূলক। এর আগেও এটি সংবাদপত্রে দেখা যায়।
যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজে দুই থেকে চার হাজার, মালিকানা পরিবর্তনে তিন হাজার, ফিটনেস সংক্রান্ত কাজে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ঘুষ কাউকে না কাউকে দিতেই হয়। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাস করতে হলে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ দেয়া অনেকটা বাধ্যতামূলক। এর আগেও এটি সংবাদপত্রে দেখা যায়।
এ সকল বিষয়াদি নিয়ে আমাদের প্রতিবেদক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবে তাই বিস্তারিত তথ্য সহ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে