রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
রাজধানীর উত্তরা খুনসহ ছিনতাই এর রহস্য ২৪ ঘন্টার কম সময়ে উন্মোচনঃ গ্রেফতার ২ উত্তরা কামারপাড়া মামস্ স্কুল প্রাঙ্গণে আলোচনা ও এস এসসি/ সমমান-উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৩  বৈরী পরিবেশ উপেক্ষা করে এমপি নাবিলের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে জনতার ঢল কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন তৃণমূলের ভরসা কবির বটিয়াঘাটায় তিন বিঘা আমন ধানের ফসল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে  ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন এর আহবানে,, রানী রাসমণি রোডে, ধিক্কার মিছিল ,,,বিক্ষোভ ও সমাবেশ  উত্তরা ১০ আন্ত: শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৩ ডিয়াবাড়ি মডেল হাই স্কুল- ৯ম শ্রেনিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ১০ম শ্রেনি চ্যাম্পিয়ন  হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের এই বছরের থিম ,,,তিন চাকার গল্পো,,৮১ তম বছরে পদার্পণ করল  ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে কলেজ ছাত্রীর মোবাইল উদ্ধার করলেন সার্জেন্ট বরগুনার তালতলীর শিক্ষা অফিসারের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু 

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডের রোগীরা রয়েছে ঝুঁকিতে ॥ চিকিৎসা চলে ইন্টার্নী দিয়ে

 

 

 

মো: ইফাজ খাঁ হবিগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ

 

 

নানা সমস্যায় জর্জরিত হবিগঞ্জ জেলা সদর সরকারী  হাসপাতাল। প্রায় সাড়ে ২১ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র সদর হাসপাতাল। তবে ডাক্তারের পরিবর্তে চিকিৎসা দিচ্ছেন ইন্টার্নীরা। যে কারণে ওষুধের রিঅ্যাকশনসহ রোগীদের নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

 

পাশাপাশি ওষুধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন জিনিস সদর হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে চিকিৎসা সেবার ব্যাঘাত ঘটছে, লোকবল সংকটের কারণে এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন ৯টি উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শত শত রোগীরা হাসপাতালে আসেন সেবা নিতে। যদিও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু পুরো হাসপাতালে জরুরি বিভাগে শুধুমাত্র একজন ডাক্তার ডিউটি করেন। ফলে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম পোহাতে হয়। অনেক সময় রাত ১২টার পর জরুরি বিভাগের ডাক্তারও পাওয়া যায় না। তিনি বিশ্রামে থাকেন। ফলে ইন্টার্নীরা জটিল রোগী ও শিশুদের সেবা দিয়ে থাকেন। যে কারণে চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে।

 

এ কারণেই হয়তোবা অনেকে মৃত্যুবরণ করেন এমন আশংকা অনেক রোগীর স্বজনদের। প্রায় ১ বছর আগে সদর হাসপাতালের দুই তলা ভবন থেকে শিশু ওয়ার্ড, মেডিসিন ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড নবনির্মিত ১০ তলায় স্থানান্তর করা হয়। বিশেষ করে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে সার্বক্ষনিক দুইজন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও এ ওয়ার্ডে কোনো ডাক্তার নেই। অনেক সময় ডাক্তারকে ডাকতে গিয়ে রোগীরা মারা যান। এ ছাড়া স্যালাইন, বিভিন্ন ইনজেকশন, সেলাইয়ের সরঞ্জাম, গ্যাস এন্টিবায়েটিকসহ বিভিন্ন ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেয়ার কথা থাকলেও তা দিয়ে রোগীদেরকে বাহির থেকে কিনে আনতে বলা হয়। তবে চাপের মুখে কিছু ওষুধ হাসপাতালের কর্মচারীরা দেন বলে রোগীরা জানান। এ সমস্যা দীর্ঘদিনেরই। বারবার অভিযোগ করেও হাসপাতালের তরফ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রোগীদের।

 

এ বিষয়ে আরএমও ডাক্তার আব্দুল মমিন চৌধুরী জানান, চিকিৎসক সংকট থাকার কারনে সমস্যা হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার থাকবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com