শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তুহিন : যশোর জেলা প্রতিনিধি :
আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু পাঠ্য বইয়ে কোনো ভুল থাকা উচিত না। তারপরও নতুন কারিকুলামের পাঠ্য বইয়ে কিছু ভুল রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে কমিটি করা হয়েছে। তারপরও নতুন কারিকুলাম নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান দিবেন না। যারা নতুন কারিকুলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশ ধ্বংস করতে চায় ওইসব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। যশোরে ৫১ তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন খেলাধূলার মাধ্যমে দলগতভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। যার মাধ্যমে মানবিকতা ও দেশপ্রেম থাকে। এগুলো অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া প্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। ক্রীড়ায় তার অবদান ছিল অপরিসীম। এ কারণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ক্রীড়ায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন,নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন কারিকুলাম নিয়ে একটি গোষ্ঠী অনেক ষড়যন্ত্র করছে।
শুরু থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে।যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার খেলাধূলায় গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থার উপরের দিকে রয়েছে। যশোরে জাতীয় পর্যায়ের এই আসর বসায় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, শিক্ষা সচিব সোলেমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর ওমর ফারুক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার। স্বাগত বক্তৃতা করেন ব্যবস্থাপনায় থাকা যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর প্রফেসর আহসান হাবীব।
সকাল বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ছয়দিনব্যাপী আসরের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রতিযোগিতায় চারটি অঞ্চল অংশ নিয়েছে। এই গুলো হচ্ছে, গোলাপ, পদ্ম, বকুল ও চাঁপা। এর আগে জাতীয় ও ক্রীড়াসহ অঞ্চলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রথম দিন ক্রীড়াবিদদের শপথ পাঠ ও মশাল প্রদক্ষিণের আয়োজন করে আয়োজকরা। মাঠের লড়াই শুরু হবে আগামীকাল থেকেই।