শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
উত্তরায় ‘৩২‘রত্মগর্ভা মা’কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন শুক্রবার ভারতরত্ন বাবা সাহেব ডক্টর বি. আর আম্বেদকরের ১৩৩ তম জন্ম দিবস পালিত হলো আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে গ্রেপ্তার, ২ দিনের রিমান্ডে কাচ্চি ভাইয়ের মালিক কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের (মেয়র) নিট পরীক্ষা দিতে এসে, স্কুলে সাপের ছোবল পরীক্ষার্থীকে, জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য তমলুকে শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে , হামলার অভিযোগে ধিক্কার মিছিল ভালুকায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের অন্যতম বৃহত্তম ও আধুনিক বৃদ্ধাশ্রম ‘হেনরী ভুবন’ উদ্বোধন হলো

বিরামপুরে সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ নয়ন নাসান

মৌ মৌ গন্ধ, ভ্রমর ছুটছে মধু আহরণে, মাঠে মাঠে সরিষার ক্ষেতগুলো যেন সেজেছে প্রকৃতির হলুদ কন্যায়, দিগন্ত জুড়ে হলুদের বাহার, বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার ফুলগুলো এ দৃশ্য সকলেকেই আকৃষ্ট করছে। উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের বিরামপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে সরিষার আবাদ বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাজারে তেলের দাম বেশী হওয়ায় এবার সরিষা চাষে ঝুকেছে কৃষক, কৃষিতে খরচ বেড়েছে তাই অল্প জমিতে বেশী ফসল ফলন করার আশায় রোপা আমণ কাটাঁর পরেই জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষে প্রস্তুত করে কৃষকরা। স্বল্প খরচ আর কম সময়ে সরিষা চাষে বেশী লাভ। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষার গড়ে ৫ থেকে ৬ মণ হয় । যা ৫/৬ জনের একটি পরিবারের সারা বছরের তেলের চাহিদা পুরণ করতে পারে। এর মেডিসিনাল ভেল্যুও আছে। সরিষার শিকড়ে নডিউল থাকে যা জমিতে নাইট্রোজেন যোগ করে। জৈব সার হিসেবে ও সরিষা গাছ অনেক গুরুত্ববহন করে। সরিষার খৈল পুকুরে এবং জমিতে ও গবাদিপশুর খাবার হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

উন্নত জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে সরিষা চাষ। প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় বারি-১৪, বারি-১৫, বারি ১৭ ও বারি ১৮ জাতের সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করবেন তারা। ফলে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সরিষা গাছে ফুল এসেছে অনেক গাছে ফলও এসেছে সরিষা চাষিরা জানান, এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে চলতি বছরে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর । সেখানে চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর।

উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের কৃষক সমির, মজিবর, সামছুল, হামিদ, হামিদুলসহ অনেকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার দ্বি-গুন জমিতে সরিষার আবাদ করেছে, কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন সরকারি প্রণোদনার বীজ পেয়ে বারি ১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন আশা করছেন ফলন ভাল হবে।

অন্যান্য কৃষক জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে। প্রতি বিঘাতে গড়ে ৬/৭ মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ হাজার টাকা লাভ করা যায়। কম সময়ে কমে খরচে বেশী লাভ হয়, সরিষা তোলার পরে বোরর আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বারি-১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, স্বল্প খরচে, কম সময়ে লাভজনক ফসল এটি। সরকারের কৃষিতে সু-দৃষ্টি রয়েছে, উপজেলায় সরকারী ভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ৩ হাজার কৃষককে । ভাল বীজ এর পর্যাপ্ততা এবং প্রণোদনা প্রদান ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষা আবাদ বেড়েছে। প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। সরিষা আবাদের ফলে তেলের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com