সংবাদ শিরোনাম
তুরাগে এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে উঠান বৈঠক, নির্বাচনী প্রস্তুতি ও জনসংযোগে  উত্তরার আব্দুল্লাহপু‌রে লি‌জকৃত জ‌মি অ‌বৈধ দখলদারমুক্ত কর‌তে জরুরী সংবাদ স‌ম্মেলন উত্তরা মাদককারবারি উচ্ছেদ করব,কামারপাড়ায় মোস্তফা জামানের কঠোর হুঁশিয়ারি তুরাগে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট -এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত রুশ বাংলা কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে (হৃদমিক এ্যাওয়ার্ড-২০২৫) উত্তরায় চু/রি যাওয়া ১ কোটি টাকা উদ্ধার! উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম।  উত্তরায় মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় চাঁদাবাজ ও নব্যবিএনপি কর্মীদের তুরাগ থানা শ্রমিক দলে জায়গা হবে না। ‎ রূপনগরে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিহত-৯, দগ্ধরা হাসপাতালে ভর্তি 

TRAB অ্যাওয়ার্ডে সেরা পরিচালক মুক্তি মাহমুদ 

admin / ৩৯ Time View
Update : রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Oplus_16908288

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

মানুষের জীবন যেন এক অদ্ভুত চলচ্চিত্র। কারো জীবনের দৃশ্যপট রঙিন, কারো সাদা-কালো। আবার কারোটা একেবারেই অসম্পূর্ণ খসড়া। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা তাঁদের স্বপ্ন আর শ্রম দিয়ে জীবনের ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকেন। মুক্তি মাহমুদ তেমনই এক মানুষ।

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের উজ্জ্বল মঞ্চে টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (TRAB) কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হলো “TRAB Excellent Award-2025”। শ্রেষ্ঠ পরিচালকের এই সম্মান তিনি অর্জন করেছেন তাঁর নির্মিত ডকুমেন্টারি “প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার”-এর জন্য।

মুক্তি মাহমুদের চোখে সবসময়ই থাকে ক্যামেরার লেন্সের মতো দৃষ্টি—সচেতন, অনুসন্ধানী আর মানবিক। ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। সেই আঁকিবুকি ধীরে ধীরে রূপ নিয়েছে চলচ্চিত্রের ফ্রেমে। তিনি একাধারে নাট্যকার, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী এবং নির্মাতা। তাঁর ক্যারিয়ারে রয়েছে শতাধিক বিজ্ঞাপনচিত্র, ডকুমেন্টারি, নাটক ও টেলিফিল্ম। কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

কেউ যদি তাঁর সাফল্যের পথচলার খতিয়ান দেখে, বুঝতে পারবে—এই অর্জন কোনো দৈবযোগ নয়। ২০১৪ সালে ডকুমেন্টারি “Street Food Vendor of Bangladesh”-এর জন্য প্রথম পুরস্কার পান। এরপর থেকে থেমে থাকেননি। সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্মাণ করেছেন অসংখ্য কাজ।

মুক্তি মাহমুদ একজন বহুমুখী প্রতিভা। তিনি একই সাথে প্রোডিউসার, পরিচালক, অভিনেতা এবং ফ্রিল্যান্স মিডিয়া ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে একটি সামাজিক সচেতন কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারে ড্রামা প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করছেন, এবং তাঁর নাম আছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, টিভি ড্রামা ডিরেক্টর্স গিল্ড, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ সিনে ডিএকরেক্টরিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে। তিনি বিভিন্ন জাতীয় সংস্থা যেমন SME ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, ICDDRB এবং বাংলাদেশ জেল ও পুলিশের জন্য ডকুমেন্টারি তৈরি করেছেন।

আজকের এই পুরস্কার যেন কেবল তাঁর ব্যক্তিগত স্বীকৃতি নয়, বরং সব পরিশ্রমী চলচ্চিত্রকর্মীরও স্বীকৃতি। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায় বললে—

“যে মানুষ পৃথিবীটাকে একটু সুন্দর করে রেখে যায়, তাকেই আসল শিল্পী বলে।”

মুক্তি মাহমুদ সেই শিল্পী, যিনি আমাদের সমাজের অন্ধকার গলি থেকে আলো খুঁজে আনেন। তাঁর প্রতিটি ফ্রেমে লুকিয়ে থাকে আশার বার্তা, প্রতিটি গল্পে জড়িয়ে থাকে মানুষের মুখের হাসি।

ঢাকার মঞ্চে প্রাপ্ত এই সম্মান তাই কেবল একটি সার্টিফিকেট নয়—এটি এক নির্মাতার জীবনের স্বপ্নপূরণের দলিল। আগামী দিনে হয়তো আরও বড় বড় স্বপ্ন আঁকবেন তিনি, আর আমরা দর্শক হয়ে সেই স্বপ্নের ভেলায় ভেসে যাবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category